রোজায় পুঁজিবাজারে সর্বোচ্চ লেনদেন
আর মাত্র এক কার্যদিবস পর রোজার ঈদের ছুটিতে যাচ্ছে পুঁজিবাজার। ফলে সপ্তাহের চতুর্থ কার্যদিবস বুধবার (২৭ এপ্রিল) পুঁজিবাজারে শেয়ার কেনা-বেচার চাপ ছিল। শেয়ার বিক্রির চাপে এদিন সূচক না বাড়লেও বেড়েছে লেনদেন ও অধিকাংশ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
এদিন দেশের প্রধান পুঁজিবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) লেনদেন হয়েছে ৯৩২ কোটি টাকা। যা চলতি মাসের মধ্যে সর্বোচ্চ লেনদেন। এর আগে ৩১ মার্চ লেনদেন হয়েছিল ১ হাজার ১১৬ কোটি ৯৪ হাজার টাকা। এর ফলে সোমবার ডিএসইতে ছন্দপতনের পর মঙ্গল ও বুধবার দুদিন পুঁজিবাজারে ইতিবাচক প্রবণতায় লেনদেন হলো।
বিজ্ঞাপন
ডিএসইর তথ্য মতে, বুধবার বাজারটিতে ৩৮১টি প্রতিষ্ঠানের মাত্র ১৮ কোটি ১৬ লাখ ৬১ হাজার ৯০৮টি শেয়ার ও ইউনিট কেনাবেচা হয়েছে। এর মধ্যে ১৭১টি কোম্পানির শেয়ারের দাম বেড়েছে, কমেছে ১৫৮টির, আর অপরিবর্তিত রয়েছে ৫২টির।
অধিকাংশ কোম্পানির শেয়ারের দাম বাড়ায় এদিন ডিএসইর প্রধান সূচক আগের দিনের চেয়ে দশমিক ৭ পয়েন্ট বেড়ে ৬ হাজার ৬৭৭ পয়েন্টে দাঁড়িয়েছে। তবে অপর দুই সূচকের মধ্যে ডিএসইএক্স আগের দিনের চেয়ে কমেছে ২ পয়েন্ট, আর ডিএস-৩০ সূচক কমেছে ৮ দশমিক ১৬ পয়েন্ট।
বুধবার ডিএসইতে ৯৩২ কোটি ৪৯ লাখ ৩২ হাজার টাকার শেয়ার ও ইউনিটের লেনদেন হয়েছে। এর আগের দিন লেনদেন হয়েছিল ৭৬৬ কোটি ৭৪ লাখ ৬৩ হাজার টাকার শেয়ার।
এদিন সবচেয়ে বেশি লেনদেন হয়েছে সোনালী পেপারের শেয়ার। এরপর লেনদেন হয় বেক্সিমকো লিমিটেডের শেয়ার। তারপর যথাক্রমে রয়েছে ইউনিট হোটেল, জেএমআই হসপিটাল, আইপিডিসি, বিএসসি, লাফার্জহোলসিম, প্রভাতী ইন্স্যুরেন্স, ওরিয়ন ফার্মা এবং কপারটেক ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেড।
এদিন ডিএসইতে সূচক নামমাত্র বাড়লেও চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের (সিএসই) সার্বিক সূচক সিএএসপিআই বেড়েছে ৩২ পয়েন্ট। ফলে আগের দিনের চেয়ে ৩২ পয়েন্ট বেড়ে ১৯ হাজার ৬১১ পয়েন্টে দাঁড়িয়েছে।
এ বাজারে ২৮১টি প্রতিষ্ঠানের শেয়ার লেনদেন হয়েছে। এর মধ্যে ১১৯টির শেয়ারের দাম বেড়েছে, কমেছে ১২৪টির, আর অপরিবর্তিত রয়েছে ৩৮টির। তাতে ১৫ কোটি ২৪ লাখ ৬৬ হাজার ২৩৪ টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে। এর আগের দিন লেনদেন হয়েছিল ১৯ কোটি ৯৪ লাখ ৭৩ হাজার ৩৪৪ টাকার শেয়ার।
এমআই/জেডএস