একদিন উত্থান আর তিন দিন সূচকের নিম্নমুখী প্রবণতায় ফেব্রুয়ারি মাসের আরও একটি সপ্তাহ পার করল দেশের পুঁজিবাজার। বিদায়ী এ সপ্তাহে কমেছে লেনদেন, সূচক ও অধিকাংশ কোম্পানির শেয়ারের দাম।

তাতে দেশের প্রধান পুঁজিবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) বিনিয়োগকারীদের পুঁজি (বাজার মূলধন) কমেছে সাড়ে ১০ হাজার কোটি টাকা। চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের (সিএসই) লেনদেনেও একই অবস্থা দেখা গেছে।

ডিএসইর তথ্য মতে, সপ্তাহজুড়ে (২০-২৪ ফেব্রুয়ারি) ডিএসইতে লেনদেন হয়েছে ৩ হাজার ৯৮৭ কোটি ৮৯ লাখ ২৫ হাজার ২৯৫ টাকা। আগের সপ্তাহে লেনদেন হয়েছিল ৫ হাজার ৯৬৭ কোটি ১২ লাখ ৯৭ হাজার ৮৪৫ টাকা। অর্থাৎ সপ্তাহের ব্যবধানে লেনদেন কমেছে ১ হাজার ৯৭৯ কোটি ২৩ লাখ ৭২ হাজার ৫৫০ টাকা। যা শতাংশের হিসাবে ৩৩ দশমিক ১৭ শতাংশ কমেছে।

ফেব্রুয়ারির চতুর্থ সপ্তাহে ডিএসইতে লেনদেন হওয়া ৩৯২টি প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিটের মধ্যে দাম বেড়েছে ৭৩টির, কমেছে ২৯৭টির, আর অপরিবর্তিত ছিল ১৭টি প্রতিষ্ঠানের শেয়ারের দাম। লেনদেন হয়নি পাঁচ প্রতিষ্ঠানের শেয়ার।

তাতে ডিএসইর প্রধান সূচক ডিএসইএক্স ১৫১ দশমিক ৯২ পয়েন্ট কমে দাঁড়িয়েছে ৬ হাজার ৮৩৯ পয়েন্টে। অপর দুই সূচকের মধ্যে শরিয়াহ সূচক ৩২ দশমিক ৪২ পয়েন্ট কমে দাঁড়িয়েছে ১ হাজার ৪৭৫ দশমিক ৭২ পয়েন্টে। আর ডিএসই-৩০ সূচক ৫৮ পয়েন্ট কমে দাঁড়িয়েছে ২ হাজার ৫১৪ পয়েন্টে।

তিনটি সূচকই কমায় বিনিয়োগকারীদের বাজার মূলধন কমেছে ১০ হাজার ৫৩৮ কোটি ৮৯ লাখ ৮৯ হাজার ১৬১ টাকা। গত সপ্তাহের প্রথম কার্যদিবস (২০ ফেব্রুয়ারি) লেনদেন শুরুর দিন ডিএসইতে বাজার মূলধন ছিল ৫ লাখ ৬০ হাজার ৯২৯ কোটি ৮৭ লাখ ৯৭ হাজার ৬৭ টাকা।

সপ্তাহের শেষ কার্যদিবস বৃহস্পতিবার (২৪ ফেব্রুয়ারি) লেনদেন শেষে বাজার মূলধন দাঁড়ায় ৫ লাখ ৫০ হাজার ৩৫৫ কোটি ৯৮ লাখ ৭ হাজার ৯০৬ টাকা। যা শতাংশের হিসাবে ১ দশমিক ৮৯ শতাংশ কম।

অপর পুঁজিবাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই) ৩৩৯টি প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিটের লেনদেন হয়েছে। এর মধ্যে দাম বেড়েছে ৭৫টির, কমেছে ২৫১টির, আর অপরিবর্তিত ছিল ১৩টি কোম্পানির।

এ বাজারের সার্বিক সূচক সিএএসপিআই ৪৬৮ পয়েন্ট কমে দাঁড়িয়েছে ১৯ হাজার ৯৯১ পয়েন্টে। সিএসইতে বিদায়ী সপ্তাহে লেনদেন হয়েছে ১২৩ কোটি ৯০ লাখ ৭২ হাজার ২৩৪ টাকার। আগের সপ্তাহে লেনদেন হয়েছিল ১২৮ কোটি ৬৪ লাখ ৬২ হাজার ২৩৪ টাকা।

এমআই/এসএম