১ ও ৪ আগস্ট ব্যাংক বন্ধ থাকবে
দেশে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ অব্যাহতভাবে বাড়তে থাকায় আগামী রোববার ও বুধবার (১ ও ৪ আগস্ট) দেশের সব ব্যাংক বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। এছাড়া আগামী ৫ আগস্ট পর্যন্ত ব্যাংকিং কার্যক্রমের নতুন সময়সূচি নির্ধারণ করা হয়েছে।
বুধবার (২৮ জুলাই) বাংলাদেশ ব্যাংকের ডেপুটি গভর্নর আবু ফরাহ মো. নাছের ঢাকা পোস্টকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
বিজ্ঞাপন
তিনি জানান, করোনায় আক্রান্ত ও মৃত্যুর সংখ্যা বেড়ে যাওয়ায় বিধিনিষেধ চলাকালে ২ দিন (১ ও ৪ আগস্ট) ব্যাংক বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। আগামী ৫ আগস্ট পর্যন্ত সরকার চলাচলে বিধিনিষেধ দিয়েছে। এ সময়ে সপ্তাহে দুদিন ব্যাংক বন্ধ থাকবে। অন্য দিনগুলোতে লেনদেনের সময় বাড়ানো হয়েছে।
২৮ জুলাই বাংলাদেশ ব্যাংকের ডিপার্টমেন্ট অব অফ-সাইট সুপারভিশনের দেওয়া নির্দেশনা অনুযায়ী, আগামী ১ ও ৪ আগস্ট ব্যাংক বন্ধ থাকবে। ২, ৩ ও ৫ আগস্ট সকাল ১০টা থেকে আড়াইটা পর্যন্ত ব্যাংকে লেনদেন হবে। লেনদেন-পরবর্তী আনুষঙ্গিক কার্যক্রম শেষে করতে ৪টা পর্যন্ত ব্যাংক খোলা রাখতে পারবে।
বিধিনিষেধের মধ্যে ব্যাংকিং কার্যক্রমের ক্ষেত্রে ১৩ জুলাই জারি করা অন্যান্য নির্দেশনা বহাল থাকবে।
নির্দেশনা অনুযায়ী বিধিনিষেধ চলাকালে যেসব ব্যাংকিং সেবা চালু রাখতে হবে
১. গ্রাহকদের হিসাবে নগদ, চেকের মাধ্যমে অর্থ জমা ও উত্তোলন, ডিমান্ড ড্রাফট, পে-অর্ডার ইস্যু ও জমা গ্রহণ, বৈদেশিক রেমিট্যান্সের অর্থ পরিশোধ, সরকারের বিভিন্ন সামাজিক কার্যক্রমের আওতায় দেওয়া ভাতা, অনুদান বিতরণ, একই ব্যাংকের খোলা রাখা বিভিন্ন শাখা ও একই শাখার বিভিন্ন হিসাবের মধ্যে অর্থ স্থানান্তর, ট্রেজারি চালান গ্রহণ, অনলাইন সুবিধা সম্বলিত ব্যাংকের সব গ্রাহকের এবং ওই সুবিধা বহির্ভূত ব্যাংকের খোলা রাখা শাখার গ্রাহকদের বাংলাদেশ ব্যাংক কর্তৃক চালু রাখা বিভিন্ন পেমেন্ট সিস্টেমস্ ও ক্লিয়ারিং ব্যবস্থার আওতাধীন অন্যান্য লেনদেন সুবিধা দেওয়া এবং জরুরি বৈদেশিক লেনদেন সংক্রান্ত কার্যাবলী চলবে।
২. কার্ডের মাধ্যমে লেনদেন ও ইন্টারনেট ব্যাংকিং সেবা সার্বক্ষণিক চালু রাখতে হবে।
৩. এটিএম বুথগুলোতে পর্যাপ্ত নোট সরবরাহসহ সার্বক্ষণিক চালু রাখতে হবে।
৪. সমুদ্র, স্থল ও বিমানবন্দর এলাকায় (পোর্ট ও কাস্টমস এলাকা) অবস্থিত ব্যাংকের শাখা, উপ-শাখা ও বুথ সার্বক্ষণিক খোলা থাকবে। এছাড়া স্থানীয় প্রশাসনসহ বন্দর ও কাস্টমস কর্তৃপক্ষের সঙ্গে আলোচনাক্রমে মাস্ক পরিধানসহ স্বাস্থ্যবিধি কঠোরভাবে পরিপালন নিশ্চিতপূর্বক যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে।
৫. বিধিনিষেধ চলাকালে যেসব শাখা বন্ধ থাকবে সেসব শাখার গ্রাহকসেবা কার্যক্রম খোলা রাখা শাখার মাধ্যমে সম্পাদনের প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে। বন্ধকৃত শাখার গ্রাহকগণের গ্রাহকসেবা প্রাপ্তি বিষয়ে অবহিত করতে শাখার দৃশ্যমান স্থানে তা বিজ্ঞপ্তি আকারে প্রদর্শন নিশ্চিত করতে হবে।
বাংলাদেশ ব্যাংকের ডিপার্টমেন্ট অব অফ-সাইট সুপারভিশনের জারি করা নির্দেশনায় বলা হয়, বিধিনিষেধ চলাকালে ব্যাংকের কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের স্ব স্ব অফিসে যাতায়াতের জন্য সংশ্লিষ্ট ব্যাংক প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে হবে। ব্যাংক কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের চলাচলের সময় স্ব স্ব প্রতিষ্ঠান কর্তৃক দেওয়া পরিচয়পত্র বহন করতে হবে।
এসআই/এসএম/জেএস