ই-অরেঞ্জসহ চারটি ই-কমার্স প্রতিষ্ঠানের ব্যাংক হিসাব তলব করেছে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের নিয়ন্ত্রণাধীন বাংলাদেশ ফাইন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিট (বিএফআইইউ)।

অন্য তিনটি প্রতিষ্ঠান হলো- কিউকম ডট কম, দালাল প্লাস ও বাজাজ কালেকশন।

বুধবার (৩০ জুন) বিএফআইইউ-এর পক্ষ থেকে ব্যাংকগুলোতে পাঠানো চিঠিতে বলা হয়েছে, এসব প্রতিষ্ঠান এবং প্রতিষ্ঠানের স্বার্থ সংশ্লিষ্ট ব্যক্তির নামে কোনো হিসাব বর্তমানে বা ইতোপূর্বে পরিচালিত হলে তা জানাতে হবে। একইসঙ্গে হিসাব খোলার ফরম, কেওয়াইসি প্রোফাইল, শুরু থেকে হালনাগাদ লেনদেন বিবরণীও পাঠাতে হবে।

এর আগে ২৯ জুন (মঙ্গলবার) আলেশা মার্টসহ সাতটি ই-কমার্স প্রতিষ্ঠানের ব্যাংক হিসাব তলব করেছিল বিএফআইইউ। প্রতিষ্ঠানগুলো হলো- আলেশা মার্ট, ধামাকা শপিং, সিরাজগঞ্জ শপ, আলাদিনের প্রদীপ, বুম বুম, আদিয়ান মার্ট ও নিডস ডট কম। ব্যাংকগুলোকে চিঠি পাওয়ার এক সপ্তাহের মধ্যে এসব প্রতিষ্ঠানের লেনদেন সংক্রান্ত যাবতীয় তথ্য পাঠাতে বলা হয়।
 
এদিকে গ্রাহকের আর্থিক ঝুঁকি রোধে বেশ কয়েকটি ব্যাংক ইভ্যালি, ই-অরেঞ্জসহ ১০টি ই-কমার্সের সঙ্গে কার্ডে লেনদেন স্থগিত করে। যদিও অ্যাকাউন্ট তলবের তালিকায় ইভ্যালির নাম নেই। এর আগে গতবছর ইভ্যালির অ্যাকাউন্ট তলব এবং পরে ফ্রিজ করে বাংলাদেশ ব্যাংক। তখন ইভ্যালি, প্রতিষ্ঠানটির চেয়ারম্যান শামীমা নাসরিন ও ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. রাসেলের অ্যাকাউন্ট ফ্রিজ করা হয়। ইভ্যালি গ্রাহকদের থেকে যে পরিমাণ অর্থ নিয়েছে তার চেয়ে অনেক কম সম্পদ থাকার তথ্য সামনে আসায় পুরো ই-কমার্স খাত আলোচনায় এসেছে।

ইভ্যালি ও আলেশা মার্টসহ ১০টি অনলাইন মার্চেন্টে ক্রেডিট, ডেবিট ও প্রি-পেইড কার্ডের লেনদেন স্থ‌গিদ করেছে বেশ কিছু ব্যাংক। ডাচ বাংলা, প্রাইম ব্যাংক, মিউচুয়াল ট্রাস্ট ব্যাংক (এম‌টি‌বি), ব্র্যাক ব্যাংক, ব্যাংক এশিয়া, ঢাকা ব্যাংক, ইউসিবি ও সিটি ব্যাংক এসব অনলাইন মার্চেন্টে লেনদেনের নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে। মূলত বিভিন্ন অফারের নামে বাজার মূল্যের চেয়ে অনেক কম দামে পণ্য বিক্রি, পণ্য দেওয়ার অনেক আগেই টাকা নেওয়া এবং সময়মতো পণ্য সরবরাহ না করার অভিযোগ রয়েছে এসব ই-কমার্স প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে।

বাণিজ্য মন্ত্রণালয় এক বৈঠক করে জানিয়েছে, পণ্য সরবরাহ করার আগে কোনো প্রতিষ্ঠান আর টাকা নিতে পারবে না। ই-কমার্স প্রতিষ্ঠানের লেনদেন বিষয়ে একটি নির্দেশনা দিয়েছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক।

এসআই/জেডএস