ইভ্যালিসহ ১০ ই-কমার্সে কেনাকাটায় ব্র্যাক ব্যাংকের নিষেধাজ্ঞা
ইভ্যালি ও আলেশা মার্টসহ ১০টি ই-কমার্স সাইট থেকে ক্রেডিট, ডেবিট ও প্রি-পেইড কার্ডের মাধ্যমে কেনাকাটায় নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে ব্র্যাক ব্যাংক।
নিষেধাজ্ঞার তালিকায় থাকা অন্য প্রতিষ্ঠানগুলো হলো- ই-অরেঞ্জ, ধামাকা শপিং, সিরাজগঞ্জ শপিং, আলাদিনের প্রদীপ, বুম বুম, কিউকম, আদিয়ান মার্ট ও নিডস ডট কম বিডি। বিভিন্ন গণমাধ্যমে এসব অনলাইন মার্কেট প্লেস-এর বিরুদ্ধে নেতিবাচক সংবাদ প্রকাশ হওয়ায় এই নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে ব্র্যাক ব্যাংক।
বিজ্ঞাপন
মঙ্গলবার (২২ জুন) বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ব্র্যাক ব্যাংকের গণসংযোগ বিভাগের প্রধান কর্মকর্তা ইকরামুল কবীর।
তিনি ঢাকা পোস্টকে বলেন, এটি ব্র্যাক ব্যাংকের একটি কৌশলগত সিদ্ধান্ত। কোনো প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে আমাদের অংশীদারিত্ব থাকবে তা নির্ণয় করে আমাদের পরিচালনা পরিষদ। তারা এই সাইটগুলোতে লেনদেন আপাতত স্থগিত রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
বেশ কিছু ই-কমার্স প্রতিষ্ঠান ব্যবসায় নতুন কৌশল অবলম্বন করছে। নতুন এই ব্যবসা পদ্ধতিতে অনলাইন বাজারগুলো ক্রেতাদের কাছ থেকে কয়েক মাসের অগ্রিম টাকা সংগ্রহ করে। কিছু কিছু ক্ষেত্রে, প্রতিষ্ঠানগুলো পণ্য সরবরাহ করতে আরও বেশি সময় নিয়ে থাকে।
এছাড়া, প্রায়ই তারা ক্রেতাদের জানিয়ে দেয় যে, তাদের অর্ডার করা পণ্যগুলো শেষ হয়ে গেছে। আর তাই সেটা পাঠানো সম্ভব নয়। তবে, মাসের পর মাস ধরে অপেক্ষার পরেও প্রতিষ্ঠানগুলো পণ্য পৌঁছাতে ব্যর্থ হলে ক্রেতারা তাদের টাকা ফেরত পান না বলে অসংখ্য অভিযোগ ওঠে। অনলাইন ক্রেতাদের লোভনীয় সব ছাড়ের ফাঁদে ফেলে দেশের ই-কমার্স প্রতিষ্ঠানগুলোর বিশাল অঙ্কের অর্থ সংগ্রহ করার বিষয়টি নিয়ে উদ্বিগ্ন বাংলাদেশ ব্যাংকও।
অনিয়ন্ত্রিত এসব ই-কমার্স সাইটের মাধ্যমে উচ্চ লেনদেনের বিষয়ে সম্প্রতি বাংলাদেশ ব্যাংক একটি অনুসন্ধানী প্রতিবেদন বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ে পাঠিয়েছে। তারা জানিয়েছে, ক্রেতাদের কাছ থেকে সংগৃহীত অগ্রিম অর্থের বিপরীতে এসব প্রতিষ্ঠানের কোনো সম্পদ নেই।
বাংলাদেশ ব্যাংকের এক পরিদর্শনে উঠে এসেছে, অনলাইনভিত্তিক বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠান (ই-কমার্স) ইভ্যালির চলতি সম্পদের পরিমাণ ৬৫ কোটি ১৭ লাখ টাকা। এর বিপরীতে প্রতিষ্ঠানটির দেনার পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ৪০৩ কোটি ৮০ লাখ টাকা। সম্পদের চেয়ে ৬ গুণের বেশি এই দেনা পরিশোধ করার সক্ষমতা কোম্পানিটির নেই।
এসআই/ওএফ/জেএস/এইচকে