পরিবেশ রক্ষায় পলিথিনের ব্যবহার বন্ধ করার ওপর বিশেষ গুরুত্ব দিয়েছে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার। বিকল্প ব্যবস্থা হিসেবে পাটপণ্য ব্যবহারে উদ্বুদ্ধ করা হচ্ছে। তার অংশ হিসেবে পাট শিল্পের বকেয়া ঋণ পরিশোধে বিশেষ সুবিধা দিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক।

এ খাতের বকেয়া (অনিয়মিত) ব্যাংক ঋণ ব্লক হিসাবে স্থানান্তর করে ১০ বছরের পরিশোধ সুবিধা দিতে বলা হয়েছে। এক্ষেত্রে ন্যূনতম দেড় শতাংশ ডাউন পেমেন্ট আদায় নিশ্চিত করতেও বলা হয়েছে। পাশাপাশি এক বছরের জায়গায় গ্রেস পিরিয়ড দুই বছর করা হয়েছে। এসব সুবিধা নিশ্চিত করতে বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলোকে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে বলেছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক।

বৃহস্পতিবার (১৪ নভেম্বর) বাংলাদেশ ব্যাংকের ব্যাংকিং প্রবিধি ও নীতি বিভাগ এ সংক্রান্ত নির্দেশনা দিয়েছে। এর আগে গত ৪ জানুয়ারি অর্থ মন্ত্রণালয় এ বিষয়ে আদেশ জারি করে।

অর্থ মন্ত্রণালয়ের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, পাট খাতের গত বছরের জুন পর্যন্ত ঋণ দায়ের সুদ ও আসল পৃথক ব্লক হিসাবে স্থানান্তর করতে বলা হয়েছে। এসব ঋণ পরিশোধে ১০ বছর সুবিধা পাবে। তবে, ঋণ পরিশোধ পুনর্নির্ধারণের ক্ষেত্রে গ্রেড পিরিয়ড এক থেকে দুই বছরে উন্নীত করা হয়েছে। এ ছাড়া ঋণ ব্লক সুবিধা দেওয়ার ক্ষেত্রে ন্যূনতম ১.৫ শতাংশ ডাউন পেমেন্ট আদায় নিশ্চিত করতে হবে।

প্রসঙ্গত, পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান ১ অক্টোবর এক অনুষ্ঠানে বলেন, পরিবেশ রক্ষায় পলিথিনের ব্যবহার বন্ধ করা অত্যন্ত জরুরি। সুপারশপগুলোতে পলিথিন শপিং ব্যাগের বিকল্প ব্যবহারের সরকারি সিদ্ধান্ত মেনে চলার জন্য ক্রেতা, বিক্রেতা, জনগণের প্রতি আহ্বান জানান তিনি।

তিনি বলেন, ১ অক্টোবর থেকে কেউ বাজার করতে পলিথিন শপিং ব্যাগ আনতে পারবে না বা বাজার থেকেও নিতে পারবে না। পরবর্তী সময়ে একবার ব্যবহার্য প্লাস্টিকও বন্ধ করা হবে। এ জন্য জনগণ, ব্যবসায়ী এবং সংশ্লিষ্ট সবাইকে একসঙ্গে কাজ করতে হবে।

সুপারশপগুলো খুশি মনে পলিশিন শপিং ব্যাগ বন্ধের এই সিদ্ধান্ত বাস্তবায়ন করছে এবং নিজেরাই বিকল্পের পরামর্শ দিচ্ছে উল্লেখ করে পরিবেশ উপদেষ্টা বলেন, পাট মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে এ বিষয়ে আলোচনা হয়েছে। নভেম্বর থেকে পলিথিন উৎপাদনের বিরুদ্ধে অভিযান শুরু হবে। ক্রেতা ও বিক্রেতাদের মধ্যে সচেতনতা বৃদ্ধির আহ্বান জানান তিনি।

এসআই/এসএম