টাকার সরবরাহ কমাতে বাড়ল নীতি সুদহার
অর্থ সরবরাহ কমিয়ে উচ্চ মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণ করতে চায় কেন্দ্রীয় ব্যাংক। এমন লক্ষ্য নিয়ে চলতি ২০২৩-২০২৪ অর্থবছরের দ্বিতীয়ার্ধের (জানুয়ারি-জুন) মুদ্রানীতি ঘোষণা করা হয়েছে। এতে বাড়ানো হয়েছে নীতি সুদহার। পাশাপাশি টাকার সরবরাহ কমানোর উদ্যোগও নেওয়া হয়েছে।
বুধবার (১৭ জানুয়ারি) চলতি অর্থবছরের (২০২৩-২০২৪) ২য় ষান্মাসিকের (জানুয়ারি-জুন, ২০২৪) মুদ্রানীতি ঘোষণার সময় এ তথ্য জানান বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর আব্দুর রউফ তালুকদার।
বিজ্ঞাপন
তিনি বলেন, আসছে জুনের মধ্যে মূল্যস্ফীতি ৭.৫ শতাংশে নামিয়ে আনতে চায় কেন্দ্রীয় ব্যাংক। এ লক্ষ্যে নতুন মুদ্রানীতিতে নীতি সুদহার ২৫ শতাংশীয় পয়েন্ট বাড়িয়ে ৮ শতাংশ করা হয়েছে। নতুন সিদ্ধান্ত মতে নীতি সুদহার ৭.৭৫ শতাংশ থেকে বাড়িয়ে ৮ শতাংশ করা হচ্ছে। এর ফলে বাংলাদেশ ব্যাংক থেকে অন্যান্য ব্যাংকগুলো যে টাকা ধার করবে, তার সুদহার বাড়বে। অর্থাৎ বাংলাদেশ ব্যাংক আরও সংকোচনমূলক মুদ্রা সরবরাহের দিকে হাঁটছে।
আরও পড়ুন
এছাড়া, বাংলাদেশ ব্যাংকের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, রিভার্স রেপো (বর্তমান নাম স্ট্যান্ডিং ডিপোজিট ফ্যাসিলিটি বা এসডিএফ) নিম্নসীমার সুদহার ৫.৭৫ শতাংশ থেকে ৭৫ শতাংশীয় পয়েন্ট বাড়িয়ে ৬.৫০ শতাংশ করা হয়েছে। বাজারে উদ্বৃত্ত টাকা থাকলে বাংলাদেশ ব্যাংক রিভার্স রেপোর মাধ্যমে টাকা তুলে নেয়।
নীতি সুদহার করিডরের ঊর্ধ্বসীমা স্পেশাল রেপো বা এসএলএফের (স্ট্যান্ডিং লেন্ডিং ফ্যাসিলিটি) সুদহার ৯.৭৫ শতাংশ থেকে ২৫ বেসিস পয়েন্ট কমিয়ে ৯.৫০ শতাংশ করা হয়েছে। এতে সংকটে পড়া ব্যাংক বাংলাদেশ ব্যাংক থেকে টাকা ধার করতে কিছুটা ব্যয় কমবে।
জানা গেছে, চলতি অর্থবছরের প্রথমার্ধের (ডিসেম্বর পর্যন্ত) জন্য ঘোষিত মুদ্রানীতিতে বেসরকারি খাতে ঋণ প্রবৃদ্ধির লক্ষ্য ধরা হয়েছিল ১০.৯ শতাংশ। কিন্তু মূল্যস্ফীতির মতো ঋণ প্রবৃদ্ধির এই লক্ষ্যও অর্জিত হয়নি। আর গত নভেম্বর পর্যন্ত বেসরকারি খাতে ঋণ প্রবৃদ্ধি অর্জিত হয়েছে ৯.৯০ শতাংশ, যা লক্ষ্যের চেয়ে ১ শতাংশ কম।
মুদ্রানীতি ঘোষণার সময় আরও উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ ব্যাংকের ডেপুটি গভর্নররা, বিএফআইইউ এর প্রধান কর্মকর্তা, চিফ ইকোনোমিস্ট, গবেষণা বিভাগের নির্বাহী পরিচালক, বাংলাদেশ ব্যাংকের মুখপাত্র ও সহকারী মুখপাত্ররা।
আরএইচটি/কেএ