কস্ট অ্যান্ড ম্যানেজমেন্ট অ্যাকাউন্টেন্টস ফার্ম দ্বারা রপ্তানি প্রণোদনা বা নগদ সহায়তার আবেদন অডিট বা নিরীক্ষা করা যাবে। চলতি অর্থবছর থেকেই সিএমএ ফার্ম এই অডিট করতে পারবে।

রোববার (৩ ডিসেম্বর) বাংলাদেশ ব্যাংকের বৈদেশিক মুদ্রা নীতি বিভাগ থেকে এ সংক্রান্ত একটি নির্দেশনা জারি করে বৈদেশিক মুদ্রায় লেনদেনের সব অনুমোদিত ডিলারের কাছে পাঠানো হয়েছে। 

কস্ট অ্যান্ড ম্যানেজমেন্ট অ্যাকাউন্টেন্টস ফার্ম দ্বারা রপ্তানি প্রণোদনা বা নগদ সহায়তার আবেদনের নিরীক্ষা করা প্রসঙ্গে নির্দেশনায় বলা হয়েছে, এর আগের নির্দেশনা অনুযায়ী চলতি ২০২৩-২০২৪ অর্থবছরে রপ্তানি প্রণোদনা বা নগদ সহায়তার আবেদন পত্র বাংলাদেশ ব্যাংক অনুমোদিত এবং সংশ্লিষ্ট ব্যাংকের নিয়োজিত অডিট ফার্ম দ্বারা নিরীক্ষা করানো যাবে।

পাশাপাশি নিরীক্ষা কার্যক্রম দ্রুত সম্পাদনের লক্ষ্যে অতিরিক্ত ফার্ম নিয়োগের প্রয়োজন হলে সে বিষয়ে যৌক্তিকতা ও প্রয়োজনীয় তথ্যসহ অডিট ফার্মের সংখ্যা উল্লেখ করে বাংলাদেশ ব্যাংক বরাবর আবেদন করতে হবে।

সরকারি সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, রপ্তানি প্রণোদনা বা নগদ সহায়তার আবেদনপত্র নিরীক্ষার লক্ষ্যে ফাইনান্সিয়াল রিপোর্টিং কাউন্সিলের (এফআরসি) প্রকাশিত সর্বশেষ তালিকায় অন্তর্ভুক্তি এবং বাংলাদেশ ব্যাংকের তালিকাভুক্তি সাপেক্ষে কস্ট অ্যান্ড ম্যানেজমেন্ট অ্যাকাউন্টেন্টস (সিএমএ) ফার্মকেও সংশ্লিষ্ট ব্যাংক কর্তৃক অডিটর হিসেবে নিয়োগ দেওয়া যাবে।

চলতি অর্থবছরের রপ্তানি প্রণোদনা বা নগদ সহায়তার আবেদনপত্র নিরীক্ষার লক্ষ্যে সিএমএ ফার্ম নিয়োগ করা যাবে। এ বিষয়ে যৌক্তিকতা উল্লেখ করে সিএমএ ফার্মের নাম, ঠিকানা, প্রাসঙ্গিক অন্যান্য বিষয়াবলি এবং এফআরসি ও বাংলাদেশ ব্যাংকের তালিকাভুক্তি সংক্রান্ত তথ্যসহ বাংলাদেশ ব্যাংক বরাবর আবেদন করতে হবে।

সিএমএ ফার্ম কর্তৃক রপ্তানি প্রণোদনা বা নগদ সহায়তার আবেদনপত্র নিরীক্ষার ক্ষেত্রে ২০০২ সালের ২ জুন, ২০১৪ সালের ২৯ জুন, ২০২০ সালের ২ জুন ও ২০২০ সালের ১২ আগস্টের নির্দেশনাসহ রপ্তানি প্রণোদনা বা নগদ সহায়তা বিষয়ে প্রযোজ্য অপরাপর সকল সার্কুলারের নির্দেশনা প্রযোজ্য হবে।

এসআই/কেএ