শেয়ারহোল্ডারদের জন্য ১২ শতাংশ (১০ শতাংশ নগদ ও ২ শতাংশ বোনাস শেয়ার) লভ্যাংশ দেওয়ার ঘোষণা দিয়েছে পুঁজিবাজারের তালিকাভুক্ত ব্যাংক খাতের কোম্পানি দ্যা সিটি ব্যাংক লিমিটেড। জানুয়ারি থেকে ৩১ ডিসেম্বর ২০২২ সমাপ্ত বছরের নিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন পর্যালোচনা করে শেয়ারহোল্ডারদের জন্য এ লভ্যাংশ ঘোষণা করেছে।

মঙ্গলবার (১১ এপ্রিল) পূর্বনির্ধারিত পরিচালনা পর্ষদ সভায় ২০২২ সালের আর্থিক প্রতিবেদন পর্যালোচনা করে এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। এর ফলে ব্যাংকটির শেয়ারহোল্ডারদের লভ্যাংশ হিসেবে ১২০ কোটি ৬ লাখ ৬ হাজার ৭৪৩ টাকা দেওয়া হবে। পাশাপাশি ২ শতাংশ বোনাসও শেয়ার দেওয়া হবে।

এর আগের বছর শেয়ারহোল্ডারদের ২৫ শতাংশ (সাড়ে ১২ শতাংশ নগদ আর সাড়ে ১২ শতাংশ বোনাস শেয়ার) লভ্যাংশ দিয়েছিল। তার আগের বছর করোনার সময় অর্থাৎ ২০২০ সালে শেয়ারহোল্ডারদের (সাড়ে ১৭ শতাংশ নগদ আর ৫ শতাংশ বোনাস) সাড়ে ২২ শতাংশ শেয়ার লভ্যাংশ দিয়েছিল। এছাড়াও ২০১৯ সালে ১৫ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ দেওয়া হয়েছিল। তবে তার আগের বছর শেয়ারহোল্ডারদের ৫ শতাংশ বোনাস শেয়ার লভ্যাংশ দিয়েছিল। সেই হিসেবে চার বছরের মধ্যে সর্বনিম্ন লভ্যাংশ দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে কোম্পানি কর্তৃপক্ষ।

ঘোষিত লভ্যাংশ শেয়ারহোল্ডারদের সর্বসম্মতিক্রমে অনুমোদনের জন্য ব্যাংকটির বার্ষিক সাধারণ সভার (এজিএম) দিন নির্ধারণ করা হয়েছে ৪ জুলাই। ওইদিন দুপুর ২টায় ডিজিটাল প্লাটফর্মে এজিএম অনুষ্ঠিত হবে। এর জন্য রেকর্ড তারিখ নির্ধারণ করা হয়েছে আগামী ১০ মে।

কোম্পানির তথ্য অনুসারে, ২০২২ সালে সমন্বিতভাবে ব্যাংকটির শেয়ার প্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছে ৩ টাকা ৯৮ পয়সা। এর আগের বছর ২০২১ সালে ছিল শেয়ার প্রতি আয় (ইপিএস) ৪ টাকা ৫৮ পয়সা। তার আগের বছর ইপিএস ছিল ৪ টাকা ৯১ পয়সা।

এর আগের বছর ২০১৯ সালে ইপিএস ছিল ৮ টাকা ১৪ পয়সা। ২০১৮ সালে ছিল ১৩ টাকা ১৪ পয়সা। ২০১৭ সালে ইপিএস ছিল ১৩ টাকা ৬৫ পয়সা।

ছয় বছরের মধ্যে সব থেকে কম মুনাফা হওয়া ব্যাংকটির বিদায়ী বছরে শেয়ার প্রতি নিট সম্পদ মূল্য (এনএভিপিএস) দাঁড়িয়েছে ২৮ টাকা ২১ পয়সা। আজ সর্বশেষ ব্যাংকের শেয়ার লেনদেন হয়েছে ২১ টাকা ৮০ পয়সা।

এমআই/এফকে