ভ্যাট ফাঁকির ৮৭ লাখ টাকা সরকারের কোষাগারে জমা দিয়েছে ইউনিয়ন ব্যাংক লিমিটেড। ভ্যাট নিরীক্ষা ও গোয়েন্দা অধিদপ্তর অডিটের মাধ্যমে প্রতিষ্ঠানটির ওই ফাঁকির বিষয়টি উদঘাটন করেছিল। ঢাকা উত্তর কাস্টমস, এক্সাইজ ও ভ্যাট কমিশনারেটের কমিশনার ফারজানা আফরোজ সই করা চিঠির সূত্রে এসব তথ্য জানা গেছে। 

সোমবার (১৭ অক্টোবর) এনবিআর ঊর্ধ্বতন একটি সূত্রও ঢাকা পোস্টকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

ইউনিয়ন ব্যাংক লিমিটেডের এমডিকে পাঠানো চিঠির সূত্রে জানা যায়, মূসক নিরীক্ষা গোয়েন্দা ও তদন্ত অধিদপ্তরের অডিট প্রতিবেদন অনুযায়ী ইউনিয়ন ব্যাংক লিমিটেড ২০১৭ সালের জানুয়ারি থেকে ২০২১ সালের জুন পর্যন্ত সময়ে উৎস ভ্যাটবাবদ ৭৪ লাখ ৫০ হাজার ১৮১ টাকা পরিশোধ করেনি। যেখানে প্রযোজ্য সুদ ১২ লাখ ৬৪ হাজার ১৬৯ টাকা। ওই টাকা আদায়ের জন্য ২০২০ সালের ৩১ ডিসেম্বর প্রথম দাবিনামা জারি করে ভ্যাট নিরীক্ষা, গোয়েন্দা ও তদন্ত অধিদপ্তর। ব্যাংকটি ঢাকা উত্তর কাস্টমস, এক্সাইজ ও ভ্যাট কমিশনারেটের আওতাধীন হওয়ায় তাদের ফাঁকিকৃত ভ্যাট আদায়ের চিঠি দেয় ভ্যাট গোয়েন্দা।

সূত্র আরও জানায়, ঢাকা উত্তর কাস্টমস, এক্সাইজ ও ভ্যাট কমিশনারেট ১৯৯১ সালের মূল্য সংযোজন কর আইনের ধারা ৫৫ এর উপ-ধারা (১) অনুযায়ী দাবিনামাসহ কারণ দর্শানো নোটিশ জারি করার পর ব্যাংক কর্তৃপক্ষকে গত ২৩ আগস্ট অভিযোগের বিষয়ে শুনানিতে অংশ নেওয়ার জন্য তলব করে। শুনানিতে ব্যাংকটির এভিপি মোহাম্মদ কালাম হোসেন ও সিনিয়র অফিসার মীর রেজাউল হক উপস্থিত হন। তাঁরা অভিযোগের বিষয়টি মেনে নিয়ে সুদসহ ভ্যাটের মোট ৮৭ লাখ ১৪ হাজার ৩৫০ টাকা সরকারি কোষাগারে জমা প্রদান করেছেন বলে লিখিতভাবে জানান। পরবর্তীতে ঢাকা উত্তরের কাস্টমস ও ভ্যাট কমিশনারেট বিষয়টি যাচাই করে সত্যতা পাওয়ার পর দাবিনামাটি নিষ্পত্তি করার সিদ্ধান্ত নেয়।

আরএম/এমএ