চাকরির শেষ কার্যদিবসে কর্মীদের রোষানলে পড়েছেন রাষ্ট্রায়ত্ত অগ্রণী ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) মোহাম্মদ শামস-উল ইসলাম। প্রায় এক ঘণ্টা অবরুদ্ধ করে রাখেন পদোন্নতি না পাওয়া কর্মীরা। এ সময় ব্যাংকটির চেয়ারম্যান জায়েদ বখত অবরুদ্ধ হয়ে পরেন।  

মঙ্গলবার (২৩ আগস্ট) বিকেল ৪টার দিকে অগ্রণী ব্যাংকের প্রধান কার্যালয়ে এ ঘটনা ঘটে।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে ব্যাংকটির চেয়ারম্যান জায়েদ বখত ঢাকা পোস্টকে বলেন, কর্মীদের পদোন্নতির একটা বিষয় আছে। যেটা বোর্ডে আলোচনা হয়েছে। কর্মীদের আমি বুঝিয়ে বলেছি। তবে এমডিকে অবরুদ্ধ করেছে বা আন্দোলন হয়েছে এমন তথ্য সঠিক নয়।  

তবে অগ্রণী ব্যাংকের প্রধান কার্যালয়ের একাধিক কর্মকর্তা ঢাকা পোস্টকে বলেন, পদোন্নতি বঞ্চিতরা এমডির শেষ কর্মদিবসে তার কার্যালয়ের সামনে বিকেল ৪টার দিকে জড়ো হন। এ সময় পদোন্নতির দাবিতে স্লোগান দেন। প্রায় এক ঘণ্টার মতো এমডির রুমের সামনে অবস্থান নেন পদোন্নতি না পাওয়া কর্মকর্তারা। আগামী বোর্ডে এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে- চেয়ারম্যানের এমন আশ্বাসে কর্মীরা চলে যান।  

অভিযোগ রয়েছে, ব্যাংকটিতে পদোন্নতির জন্য একটি বিশেষ প্রক্রিয়ায় নম্বর দেওয়া হয়। মফস্বলের বিভিন্ন শাখায় কর্মরতদের বেশি নম্বর দেওয়া হয়। শহরের তুলনায় ওই কর্মকর্তাদের নম্বর বেশি হওয়ায় প্রমোশনের সংখ্যাও সেখানে বেশি। ওই তুলনায় শহরে কর্মরতদের তেমন নম্বর নেই। নম্বরের পরিমাণ কমিয়ে দেওয়া হয়েছে একাডেমিক ডিগ্রিতে যাদের ৪টি ফাস্ট ক্লাস আছে। এ কারণে ২০১৮ সালের পর থেকে মেধাবী অনেক কর্মকর্তা প্রমোশন পায়নি।

অপরদিকে একই ক্যাটাগরির কর্মকর্তা হয়েও রাষ্ট্রায়ত্ত সোনালী ব্যাংকে প্রমোশন হয়েছে যেখানে বঞ্চিত রয়ে গেছে অগ্রণীতে। আবার ফাস্ট ডিউতে অনেক মেধাবী কর্মকর্তাদের প্রমোশন দেওয়া হয়নি। এসব ক্ষোভ থেকেই প্রধান কার্যালয়ে এমডিকে অবরুদ্ধ করে রাখেন আন্দোলনকারীরা। তারা সুপার নিউমারারি প্রমোশন দেওয়া দাবি জানান।

জানা গেছে, আজই আনুষ্ঠানিক শেষ কর্মদিবস ছিল অগ্রণী ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোহম্মদ শামস-উল ইসলামের। আগামীকাল (বুধবার) তার স্থলাভিষিক্ত হচ্ছেন সোনালী ব্যাংকের উপ-ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. মুরশেদুল কবীর।

এসআই/ওএফ