সিঙ্গাপুরে বাংলাদেশি অভিবাসীদের জন্য দ্রুত ও কম খরচে দেশে টাকা পাঠানোর সুযোগ করে দিল ব্র্যাক ব্যাংক লিমিটেড ও সিঙ্গাপুরের ব্যাংক ডিবিএস। 

ডিবিএসের ডিজিটাল ব্যাংকিং প্ল্যাটফর্ম ডিবিএস রেমিটের মাধ্যমে বাংলাদেশের যেকোনো জায়গায় টাকা পাঠানোর ক্ষেত্রে স্বয়ংক্রিয়, সাশ্রয়ী খরচ ও রিয়েল-টাইম ডিজিটাল রেমিট্যান্স সুবিধা পাওয়া যাবে। 

বুধবার ব্যাংকটির পক্ষ থেকে পাঠানো এক বিবৃতিতে এসব কথা জানানো হয়েছে। এ সুবিধা চালু করতে ইতোমধ্যে ব্র্যাক ব্যাংক ও ডিবিএস পার্টনারশিপ সম্পন্ন করেছে।

এ বিষয়ে ডিবিএস রেমিটের রিজিওনাল হেড হৃদয় কৃষ্ণকুমার বলেন, ডিবিএস রেমিট সক্ষমতা বাড়িয়ে গ্রাহকদের আরও সহজলভ্য, সাশ্রয়ী এবং নিরাপদ রেমিট্যান্স দেওয়ার ক্ষেত্রে বাংলাদেশের অন্যতম উদ্ভাবনী আর্থিক প্রতিষ্ঠান ব্র্যাক ব্যাংকের অংশীদার হতে পেরে আমরা অত্যন্ত আনন্দিত। আমরা এ বছরের শেষে বিকাশ ওয়ালেটেও রেমিট্যান্স সুবিধা আনার ব্যবস্থা করছি, যাতে গ্রাহকেরা সারা বাংলাদেশের আরও বেশি জায়গায় রেমিট্যান্স পাঠাতে পারেন। 

অন্যদিকে ব্র্যাক ব্যাংকের ম্যানেজিং ডিরেক্টর অ্যান্ড সিইও সেলিম আর. এফ. হোসেন বলেন, বৈদেশিক রেমিট্যান্স আমাদের অর্থনীতির অন্যতম মেরুদণ্ডের একটি। আমরা এ খাতকে এগিয়ে নিতে ও ক্রমাগত উন্নয়নে কাজ করে যাচ্ছি। আমরা বিশ্বব্যাপী শীর্ষস্থানীয় ডিজিটাল ব্যাংক ডিবিএসের অংশীদার হয়েছি, কারণ তারা উন্নততম প্রযুক্তির মাধ্যমে গ্রাহকদের সর্বোত্তম সেবার অভিজ্ঞতা নিশ্চিত করে। আমরা ভবিষ্যতে ডিবিএসের সঙ্গে অংশিদারত্ব আরও বাড়াতে চাই। 

বাংলাদেশে টাকা পাঠানোর জন্য একটি নির্ধারিত বিনিময় হার দেয় ডিবিএস রেমিট। এর কোনো সার্ভিস ফি নেই। এটি ব্র্যাক ব্যাংক অ্যাকাউন্টসহ বাংলাদেশের যেকোনো ব্যাংক অ্যাকাউন্টে রিয়েল-টাইম স্বয়ংক্রিয় ডিপোজিট নিশ্চিত করে। 

ব্র্যাক ব্যাংকের ১৮৭টি শাখার বিশাল নেটওয়ার্ক এবং ৭০০টিরও বেশি এজেন্ট ব্যাংকিং আউটলেটের মাধ্যমে বাংলাদেশে প্রাপকেরা সুবিধা অনুযায়ী দ্রুত টাকা উত্তোলন করতে পারবেন। 

ব্র্যাক ব্যাংক অ্যাকাউন্টে ডিপোজিট হওয়া রেমিট্যান্সের মাধ্যমে ব্যাংকের গ্রাহকরা মোবাইল অ্যাপ ‘আস্থা’ ব্যবহার করে ইউটিলিটি, বিমা ও ঋণের কিস্তি প্রদান, ক্রেডিট কার্ড ও ফোন বিল পরিশোধ করতে তো পারবেনই;   সঙ্গে দেশের যেকোনো ব্যাংক অ্যাকাউন্ট বা মোবাইল ওয়ালেটে টাকা স্থানান্তর করতে পারবেন। এছাড়াও, তারা দেশের যেকোনো এটিএম বুথ থেকে নগদ টাকা উত্তোলন করতে পারবেন।  

বর্তমানে দুই লাখের বেশি বাংলাদেশি অভিবাসী সিঙ্গাপুরে কাজ করছেন। তারা বছরে প্রায় ৩৫০ মিলিয়ন মার্কিন ডলার বাংলাদেশে পাঠিয়ে থাকেন। তাদের বেশিরভাগই শ্রমিক হিসেবে কাজ করেন এবং নিয়মিত দেশে টাকা পাঠানোর সুবিধাজনক ও সাশ্রয়ী উপায় খুঁজে পেতে তাদের যথেষ্টই বেগ পেতে হয়। 

এখানে সমস্যাগুলোর মধ্যে রয়েছে বিনিময় হারের ক্রমাগত ওঠানামা এবং একাধিক লেনদেনের ফির কারণে বেশি রেমিট্যান্স খরচ। এ খরচ কমাতে অভিয়াবাসীরা মাঝে মধ্যে টাকা পাঠানোর জন্য কম নিরাপদ বিভিন্ন অনানুষ্ঠানিক চ্যানেল বেছে নেন। 
 
প্রবাসীরা যাতে দ্রুত ও সহজে দেশে অর্থ পাঠাতে পারেন, সেজন্য ব্র্যাক ব্যাংক বিশ্বের ৬০ টির বেশি এক্সচেঞ্জ প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে পার্টনারশিপ করেছে। 

আরএম/আরএইচ