চট্টগ্রাম ভ্যালির চা উৎপাদন বৃদ্ধিতে মতবিনিময় সভা
২০২১ সালে দেশে রেকর্ড পরিমাণ চা উৎপাদন হওয়ার পরও খরা ও বিলম্বিত বৃষ্টিপাতের কারণে চট্টগ্রাম ভ্যালির ২৩টি চা বাগানে তুলনামূলক কম চা উৎপাদন হয়েছে। এছাড়াও আগাম প্লাকিং, যথাযথ প্রুনিং সাইকেল অনুসরণ না করা ও পোকামাকড়ের আক্রমণও চট্টগ্রাম অঞ্চলে চা উৎপাদনে নেতিবাচক প্রভাব ফেলেছে।
বাংলাদেশ চা বোর্ড আয়োজিত এক মতবিনিময় সভায় এসব তথ্য উঠে এসেছে। গতকাল ভার্চুয়ালি এ মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়।
বিজ্ঞাপন
মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে চা বোর্ডের চেয়ারম্যান মেজর জেনারেল মো. আশরাফুল ইসলাম বলেন, অতীতের সকল রেকর্ড অতিক্রম করে চা শিল্প ২০২১ সালে ৯৬.৫০৬ মিলিয়ন কেজি চা উৎপন্ন করে নতুন রেকর্ড গড়েছে। তবে চট্টগ্রাম ভ্যালির ২৩টি বাগানে ৯.৫২ মিলিয়ন কেজি চা উৎপাদিত হয়েছে; যা ২০২০ সালের তুলনায় কম।
তিনি বলেন, চট্টগ্রামের ২৩টি বাগানের মধ্যে ২০টিতে পূর্ববর্তী বছরের চেয়ে তুলনামূলক কম চা উৎপাদিত হয়েছে। আগামী বছর এ অঞ্চলের চা বাগানে উৎপাদন বৃদ্ধির আশাবাদ ব্যক্ত করেন তিনি।
চেয়ারম্যান বলেন, মাটির উর্বরতা বৃদ্ধিতে অর্গানিক সারের ব্যবহার বৃদ্ধি, সঠিক প্রুনিং সাইকেল অনুসরণ, সেচ ব্যবস্থার উন্নয়ন, রোগবালাই দমনসহ সমন্বিত পরিকল্পনা গ্রহণ করলে চট্টগ্রাম ভ্যালিতে চা উৎপাদন বৃদ্ধি সম্ভব হবে।
তিনি এ অঞ্চলের বাগানগুলোকে এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার আহ্বান জানান এবং বাংলাদেশ চা বোর্ড এবং এর আওতাধীন বাংলাদেশ চা গবেষণা ইনস্টিটউট এবং প্রকল্প উন্নয়ন ইউনিটের সার্বক্ষণিক কারিগরী ও প্রযুক্তিগত সহায়তার আশ্বাস দেন।
আলোচনা সভায় চট্টগ্রাম ভ্যালির চেয়ারম্যান ও উদালিয়া চা বাগানের ম্যানেজার রফিকুল ইসলাম বলেন, গত বছর বিলম্বিত বৃষ্টিপাত, খরা, দুর্বল সেচ ব্যবস্থাপনা ও প্রুনিং পদ্ধতিতে পরিবর্তনের ফলে চা উৎপাদনে নেতিবাচক প্রভাব পড়েছে। এ বছর মৌসুমের শুরুতেই বৃষ্টিপাত হয়েছে। আশা করা যাচ্ছে এ বছর চায়ের উৎপাদন ভালো হবে।
এনএফ