ই-কমার্স প্রতিষ্ঠান কিউকমের যেসব ক্রেতা আগাম টাকা পরিশোধ করে পণ্য পাননি, তাদের ৫৬ কোটি ৮৫ লাখ ৬৭ হাজার ৬৭৪ টাকা ছাড় করতে ৩ ব্যাংককে চিঠি দিয়েছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। এগুলো হচ্ছে- ব্যাংক এশিয়া, ইসলামী ব্যাংক এবং ফার্স্ট সিকিউরিটি ব্যাংক।

রোববার (৩০ জানুয়ারি) ব্যাংকগুলোর এমডিদের এ চিঠি পাঠানো হয়।

ফস্টার করপোরেশনের ব্যাংক হিসাবে জমা থাকা কিউকমের গ্রাহকদের টাকা ফেরত দিতে সরকারের বাণিজ্য মন্ত্রণালয় যে সিদ্ধান্ত নিয়েছে, তার পরিপ্রেক্ষিতে এ চিঠি দেওয়া হয়েছে। চিঠিতে টাকা ছাড়ের জন্য অবিলম্বে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে বলা হয়েছে।

কিউকমের সবচেয়ে বেশি ২৯ কোটি ৪৯ লাখ ৪২ হাজার টাকা জমা রয়েছে ব্যাংক এশিয়ার গুলশান শাখায়। মোবাইলের মাধ্যমে আর্থিক সেবাদাতা প্রতিষ্ঠান (এমএফএস) নগদ, বিকাশ, ওয়ান ব্যাংকের ওকে ওয়ালেট এবং শিওরক্যাশের মাধ্যমে গ্রাহকরা কিউকমের কাছ থেকে পণ্য কেনার আদেশ দিয়েছিলেন। কিন্তু গ্রাহকরা তাদের অর্ডার অনুযায়ী পণ্য পাননি। একইভাবে ইসলামী ব্যাংকের বাড্ডা শাখায় ১৫ কোটি এবং ফার্স্ট সিকিউরিটি ব্যাংকের গুলশান শাখায় আটকে আছে ১২ কোটি ৩৬ লাখ ২৫ হাজার টাকা। এই দুই ব্যাংকে আটকে থাকা টাকা এসেছে নগদের কাছ থেকে।

বাণিজ্য মন্ত্রণালয় গত ২৩ জানুয়ারি কিউকমের ২০ গ্রাহককে ৪০ লাখ টাকা ফেরত দেয়। এ গ্রাহকেরা কিউকমে পণ্যের ক্রয়াদেশ দিয়ে দীর্ঘদিন পণ্য বা টাকা কিছুই পাচ্ছিলেন না। তার আগে কিউকম ও ফস্টার যৌথভাবে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের কাছে প্রথম দফায় ৬ হাজার ৭২১ গ্রাহকের একটি আংশিক তালিকা দেয়। তাদের ফেরত দেওয়া হবে মোট ৫৯ কোটি ৫ লাখ টাকা।

জানা গেছে, পেমেন্ট গেটওয়ে ফস্টারের কাছে কিউকমের ৩৯৭ কোটি টাকা আটকে আছে। যেখানে ক্রেতাদের অন্তত ১৬৬ কোটি টাকা রয়েছে। ফস্টারের জব্দ করা ব্যাংক অ্যাকাউন্টে এসব টাকা রয়েছে।

ফস্টারের দুটি হিসাব স্থগিত করেছে বাংলাদেশ ব্যাংক। যেখানে প্রায় ১৯৪ কোটি টাকা রয়েছে। বাংলাদেশ ফাইন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিটের তথ্য অনুযায়ী, কিউকমের ছয়টি অ্যাকাউন্টে গ্রাহকরা জমা করেছেন ৭৯০ কোটি টাকা। লেনদেন স্থগিত থাকা এসব অ্যাকাউন্টে স্থিতির পরিমাণ দুই কোটি ৯৭ লাখ টাকা। বাকি টাকা তুলে নিয়েছে কোম্পানিটি।

এসআই/এমএইচএস