অর্ধেক জনবলে চলবে ব্যাংক
নির্দিশনায় বলা হয়েছে, কোভিড-১৯-এর বিস্তার রােধকল্পে সরকারের দেওয়া বিধি-নিষেধের মধ্যে ব্যাংকিং কার্যক্রম পরিচালনা করতে হবে।
স্বাস্থ্যবিধি অনুসরণ করে রোস্টারিংয়ের মাধ্যমে অর্ধেক কর্মকর্তা ও কর্মচারী নিয়ে ব্যাংকিং কার্যক্রম পরিচালনা করতে হবে। তবে আবশ্যকীয় ব্যাংকিং সেবা অব্যাহত রাখার প্রয়োজনে স্বীয় বিবেচনায় সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠান সিদ্ধান্ত নিতে পারবে।
বিজ্ঞাপন
আরও বলা হয়েছে, অন্যান্য কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা নিজ নিজ কর্মস্থলে অবস্থান করবেন এবং দাপ্তরিক কার্যক্রম ভার্চুয়ালি শেষ করবেন। ব্যাংকে আসা সেবাগ্রহীতাদের আবশ্যই মাস্ক পরিধানসহ স্বাস্থ্যবিধি সংক্রান্ত নির্দেশনা কঠোরভাবে পরিপালন করতে হবে।
এর আগে রোববার আরেক নির্দিশনায় ব্যাংকের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের টিকা সনদ নেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। পাশাপাশি দেশে করোনাভাইরাসের নতুন ধরন ওমিক্রনের সংক্রমণ ঠেকাতে ব্যাংক কর্মী ও গ্রাহকদের মাস্ক পরাসহ যথাযথ স্বাস্থ্যবিধি পরিপালন করতে বলা হয়।
এদিকে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ দ্রুত বাড়তে থাকায় ইতোমধ্যে দেশের সব স্কুল, কলেজ ৬ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত বন্ধ ঘোষণা করেছে সরকার। গত ২১ জানুয়ারি বিশ্ববিদ্যালয়গুলোকেও একই ব্যবস্থা নিতে নির্দেশ দিয়ে একটি প্রজ্ঞাপন জারি করেছে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ।
সেখানে বলা হয়েছে, কোনো সামাজিক, রাজনৈতিক, ধর্মীয়, রাষ্ট্রীয় অনুষ্ঠানে একশ জনের বেশি মানুষের সমাবেশ করা যাবে না। এসব ক্ষেত্রে যারা যোগ দেবেন, তাদের অবশ্যই টিকা সনদ অথবা ২৪ ঘণ্টার মধ্যে করা পিসিআরে কোভিড টেস্টের রিপোর্ট দেখাতে হবে।
সরকারি, বেসরকারি অফিস এবং শিল্প কারখানায় কর্মকর্তা-কর্মচারীদের টিকা সনদ নিতে হবে। সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে বিষয়টি নিশ্চিত করতে হবে।
বাজার, শপিং মল, মসজিদ, বাস স্ট্যান্ড, লঞ্চঘাট, রেল স্টেশনসহ সাধারণ লোকসমাগমের স্থানে অবশ্যই মাস্ক ব্যবহার করতে হবে এবং যথাযথভাবে স্বাস্থ্যবিধি অনুসরণ করতে হবে। স্থানীয় প্রশাসন ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে বিষয়গুলো পর্যবেক্ষণ করতে বলা হয়েছে।
এর আগে ওমিক্রনের বিস্তার রোধে সরকার ১১ দফা বিধিনিষেধ জারি করে, যা ১৩ জানুয়ারি থেকে কার্যকর করার ঘোষণা দেয়। অর্ধেক যাত্রী নিয়ে বাস ও ট্রেন চালানোর পাশাপাশি উন্মুক্ত স্থানে সামাজিক, রাজনৈতিক ও ধর্মীয় জমায়েতে নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হয়। পাশাপাশি রেস্তোরাঁয় বসে খাওয়ার ক্ষেত্রে কোভিড টিকার সনদ থাকা বাধ্যতামূলক করা হয় এবং টিকা সনদ ছাড়া ১২ বছরের বেশি বয়সী শিক্ষার্থীদের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে যেতে নিষেধ করেছিল।
এসআই/এসএম