শীতেও খুব বেশি কমেনি সবজির দাম
গত কয়েক মাস ধরেই ব্যবসায়ীরা আশ্বাস দিয়ে আসছিলেন যে বাজারে শীতের সবজি আসলেই দাম কমে যাবে। তবে প্রত্যাশা অনুযায়ী দাম কমেনি। সপ্তাহের বাজারে এক কেজি বরবটি বিক্রি হচ্ছে ১০০ টাকায়। আর হাইব্রিড জাতীয় শসা ৬০ টাকা কেজিতে হলেও দেশি শসার কেজি ৮০ টাকা।
শুক্রবার (২১ জানুয়ারি) রাজধানীর বিভিন্ন কাঁচা বাজার ঘুরে এ চিত্র দেখা গেছে।
বিজ্ঞাপন
বাজারে প্রতি কেজি গাঁজর ৪০ টাকা, টমেটো ৪০ টাকা, খিরা ৫০ টাকা, সিম মানভেদে ৫০ থেকে ৬০ টাকা, বেগুন ৬০ টাকা, নতুন আলু ৩০ টাকা, মূলা ৪০ টাকা, শালগম ৪০ টাকা, হাইব্রিড করলা ৬০ টাকা, কাঁচা মরিচ ৬০ টাকা, হাইব্রিড শসা ৬০ টাকা, পেঁপে ৩০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
এছাড়াও প্রতি পিস লাউ বিক্রি হচ্ছে ৫০ টাকায়। একাটি ফুলকার (পিঁয়াজের ফুল) দাম ২০ টাকা। একইসঙ্গে নতুন পেঁয়াজ ৪০ টাকা কেজিতে এবং ডিমের ডজন ১১০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
গুলশানের কাঁচা বাজারের সবজি বিক্রেতা নওশাদ হোসেন বলেন, বছর জুড়ে বরবটি চাষ হলেও শীতের সময় কিছুটা কম উৎপাদন হয়। তাই বাজারে বরবটির দাম সবচেয়ে বেশি। দেশি শসার উৎপাদন তুলনামূলকভাবে কম হওয়ায় দাম বেশি।
অন্যদিকে শীতেও সবজির দাম তেমন একটা কমেনি জানিয়ে রামপুরা কাঁচা বাজারের সবজি বিক্রেতা সাজেদুর রহমান বলেন, শীত আসার আগে সবজির দাম খুবই বেশি ছিল। আগের তুলনায় দাম এখন কিছুটা কমেছে। তবে অন্যান্য বছরের মতো খুব বেশি কমেনি। এর কারণ বাড়তি পরিবহন ভাড়া বেশি, বাজারে নানান চাঁদাবাজি। আমরা সবজি কিনতে গেলে বেশি দামেই কিনতে হচ্ছে। ফলে ক্রেতার হাত পর্যন্ত এসব সবজি পৌঁছানো পর্যন্ত একটু বেশি দাম পড়ে যাচ্ছে।
একই বাজারে সাপ্তাহিক বাজার করতে আসা বেসরকারি চাকরিজীবী আবুল বাশার বলেন, অন্যান্য বার শীতে সবজির দাম অনেক কম থাকতো। এবার শীতে সবজির দাম সেভাবে কমেনি। সব সবজিই বাজারে বেশি দামে বিক্রি হচ্ছে। অন্যান্য নিত্যপণ্যের দামের কথা না হয় বাদই দিলাম। আগে বাজারে আসলে সেসব সবজি এক কেজি করে কিনতাম, এখন দাম শুনে আধা কেজি করে কিনি।
এএসএস/এমএইচএস