পূর্বাচলে অনুষ্ঠিত আন্তর্জাতিক বাণিজ্য মেলা জমে উঠছে। দর্শনার্থীদের ভিড় দিনদিন বাড়ছে। প্রথম ১৫ দিনে মেলায় প্রবেশের টিকিট বিক্রি হয়েছে সাড়ে ৬ লাখ। এর মধ্যে সর্বোচ্চ ৭৫ হাজার টিকিট বিক্রি হয়েছে ১৪ জানুয়ারি (শুক্রবার)।

এ তথ্য ঢাকা পোস্টকে নিশ্চিত করেছেন মেলার ইজারাদার ও মেসার্স মীর ব্রাদার্সের অপারেশনাল ম্যানেজার ছাইদুর রহমান (বাবু)। তিনি ঢাকা পোস্টকে রোববার (১৬ জানুয়ারি) রাত ৮টায় বলেন, ১৫ জানুয়ারি পর্যন্ত মেলায় মোট সাড়ে ৬ লাখ টিকিট বিক্রি হয়েছে। এর মধ্যে গত শুক্রবার সর্বোচ্চ ৭৫ হাজার টিকিট বিক্রি হয়েছে। পরের দিন শনিবার বিক্রি হয়েছে ৪২ হাজার টিকিট। 

তিনি বলেন, প্রথম কয়েকদিন এক-দুই হাজার করে টিকিটি বিক্রি হয়েছে। এখন বিক্রি বাড়ছে। আগারগাঁওয়ের মেলার তুলনায় অর্ধেক টিকিটও বিক্রি হয়নি উল্লেখ্য করে ছায়েদুর রহমান বলেন, আশা করছি আগামীতে বাড়বে। 

রোববার সরেজমিনে দেখা গেছে, মেলায় দর্শনার্থীর ভিড় যথেষ্ট। প্যাভিলিয়ন ও স্টলে ক্রেতা-বিক্রেতারা কেনাবেচায় ব্যস্ত সময় কাটাচ্ছেন। উৎসবমুখর মেলার একপাশে গানের তালে তালে কিছু দর্শনার্থী নৃত্য করছেন আর আইস্ক্রিম কিনছেন।

ব্যবসায়ীরা বলছেন, বিক্রি আগের চেয়ে মোটামুটি বেড়েছে।

দিল্লি অ্যালুমিনিয়ামে কর্মরত হাসিবুর রহমান ঢাকা পোস্টকে বলেন, ‘মেলা এখন গরম, সকাল ও দুপুরে ক্রেতা কম থাকলেও বিকেলে ও সন্ধ্যায় ভিড় হচ্ছে বেশ।’ 

ডায়মন্ড ওয়ার্ল্ডের কর্মকর্তা রেজওয়ান হাসান ঢাকা পোস্টকে বলেন, ‘গত ১৫দিনে যে বিক্রি হয়েছে তাতে স্টল ভাড়াও উঠবে না। তবে আশা করছি, আগামী ১৪ দিন বিক্রি ভালো হবে।’

ইগলু আইসক্রিম বিক্রেতা ইনাম আহমেদ ঢাকা পোস্টকে বলেন, ‘এখন দর্শনার্থী বেড়েছে। গত সপ্তাহের চেয়ে এই সপ্তাহে আইসক্রিম বিক্রি বেড়েছে দ্বিগুণ।’ 

উল্লেখ্য, পূর্বাচলের বঙ্গবন্ধু বাংলাদেশ-চায়না ফ্রেন্ডশিপ এক্সিবিশন সেন্টারে অনুষ্ঠিত বাণিজ্য মেলায় দেশি-বিদেশি মোট ২২৫টি স্টল ও প্যাভিলিয়ন রয়েছে। এর মধ্যে বিদেশি ৬টি স্টল ও ৪টি মিনি প্যাভিলিয়ন রয়েছে। বাকিগুলো দেশি স্টল।

এবারও প্রিমিয়ার প্যাভিলিয়ন, প্রিমিয়ার মিনি প্যাভিলিয়ন, জেনারেল স্টল, ফুডকোর্ট, মিনি স্টল, প্রিমিয়ার স্টল ক্যাটাগরি রয়েছে। মিলনায়তনের ভেতরে নিজস্ব একটা ক্যাফেটেরিয়া রাখা হয়েছে। সেখানে একসঙ্গে ৫০০ লোক বসে খাবার খেতে পারেন।

প্রবেশমূল্য ও সময় : মেলা চলছে প্রতিদিন সকাল ১০টা থেকে রাত ৯টা পর্যন্ত। তবে ছুটির দিনে মেলা চলবে সকাল ১০টা থেকে রাত ১০টা পর্যন্ত। এবার প্রবেশমূল্য নির্ধারণ করা হয়েছে প্রাপ্তবয়স্কদের জন্য ৪০ টাকা এবং অপ্রাপ্তবয়স্কদের জন্য ২০ টাকা। দর্শনার্থীদের সুবিধার্থে ৩০টি কাউন্টার করা হয়েছে। এ ছাড়া বিকাশের কাউন্টার রয়েছে ১৫-২০টি। কেউ বিকাশ অ্যাকাউন্ট খুললে একটি টিকিট ফ্রি দিচ্ছে। আবার কাউন্টারে না গিয়ে কেউ যদি বিকাশে টিকিট নেন তাদের জন্য ৫০ শতাংশ ছাড় রয়েছে।

এমআই/এইচকে/জেএস