‌কো‌ভিড প‌রি‌স্থি‌তি‌তে যে দেশ যত‌বে‌শি সময় লকডাউন দিয়েছে তাদের অর্থনী‌তি ততবে‌শি ক্ষ‌তিগ্রস্ত হয়েছে। তাই কো‌ভিড নিয়ন্ত্রণে লকডাউন সমাধান নয়। আমাদের উ‌চিত করোনা নিয়ে জনসচেতনতা বাড়া‌নো।‌ মাস্ক পরাসহ স্বাস্থ্যবিধি ‌নি‌শ্চিত করা।

বুধবার (১২ জানুয়ারি) ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটি (ডিআরইউ) আয়োজিত মিট দ্য রিপোর্টার্স অনুষ্ঠানে এ কথা বলেন ব্যবসায়ীদের শীর্ষ সংগঠন দি ফেডারেশন অব বাংলাদেশ চেম্বার্স অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির (এফবিসিসিআই) সভাপতি মো. জসিম উদ্দিন।

এসময় উপ‌স্থিত ছিলেন ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির (ডিআরইউ) সভাপতি নজরুল ইসলাম মিঠু ও সাধারণ সম্পাদক নূরুল ইসলাম হাসিব।

এফবিসিসিআই সভাপতি বলেন, এখন প্রচুর রফতা‌নি অর্ডার আসছে। কাজও হচ্ছে। এ মুহূর্তে লকডাউন দেওয়া হলে ব্যবসায় অনেক ক্ষ‌তি হয়ে যা‌বে। তাই লকডাউন না দিয়ে জনসচেতনতা বাড়ানোর তা‌গিদ দেন তি‌নি।

ব্যবসায়ী‌ ও শিল্প উদ্যোক্তাদের এ নেতা বলেন, করোনাভাইরাসের নতুন নতুন ভ্যারিয়েন্ট সৃ‌ষ্টি হ‌চ্ছে। আগামীতে আমাদের জীবনে কো‌ভিড একটা‌ পার্ট হ‌য়ে দাঁড়াচ্ছে। এটাকে নিয়েই আমাদের চলতে হবে।

তিনি‌ বলেন, দেশের অর্থনী‌তির বড় অংশ এসএমই খাত। এ‌ খাতকে সহায়তা না কর‌তে পারলে অর্থনী‌তি এ‌গি‌য়ে নেওয়া যাবে না। বিভিন্ন প্রতিবন্ধকতার কারণে এসএমই খাত যথাযথ ঋণ সুবিধাও পায় না। তাই এখন সময় এসেছে সরকারের উচিত ব্যাংকগু‌লোর ঋ‌ণের এক‌টি নি‌র্দিষ্ট প‌রিমাণ অর্থ ছোট ব্যবসায়ীসহ ক্ষুদ্র ও মাঝা‌রি শিল্পের (এসএমই) উদ্যোক্তাদের ‌দেওয়া বাধ্যতামূলক করা।

এসআই/জেডএস