বাণিজ্য মেলা জমে উঠবে, আশা ব্যবসায়ীদের
রাজধানীর বাইরে পূর্বাচলে চলছে মাসব্যাপী আন্তর্জাতিক বাণিজ্য মেলা। এবার ঢাকার বাইরে মেলা হওয়ায় ব্যবসায়ীরা দুশ্চিন্তায় ছিলেন। তবে মেলা শুরুর প্রথম শুক্র-শনিবারের জনসমাগম দেখে এখন মেলা জমে ওঠার আশা করছেন ব্যবসায়ীরা।
রোববার (৯ জানুয়ারি) পূর্বাচলের বাণিজ্য মেলায় ব্যবসায়ীরা ঢাকা পোস্টকে তাদের এ আশার কথা জানান।
বিজ্ঞাপন
মেলার এশিয়া প্যাসিফিক জোনের ম্যানেজার স্বপন ঢাকা পোস্টকে বলেন, আমাদের মালিক শুরুতে খুবই শঙ্কিত ছিলেন। তবে গত শুক্রবারের চিত্রে স্বস্তি ফিরেছে। অন্যান্য দিনগুলোতে মানুষ সেভাবে না এলেও ছুটির দিনে দারুণ জমজমাট ছিল মেলা প্রাঙ্গণ। তাছাড়া মেলা শুরুর প্রথম দিকে এরকমই পরিস্থিতি থাকে।
রাশেদ নামের একজন ঢাকা পোস্টকে বলেন, আমি ফার্মগেট থেকে এসেছি। এখানে আসতে একটু বেগ পেতে হয়েছে। কারণ, কুড়িল থেকে আসার রাস্তাটি পুরোপুরি ঠিক হয়নি; প্রচুর ধুলাবালি। রাস্তার কাজ শেষ হলে খুবই দৃষ্টিনন্দন হবে এলাকাটি। তবে মেলায় এসে ভালো লাগছে। সবকিছু পরিপাটি, গোছানো। আমি আশা করছি এবারের বাণিজ্য মেলা দারুণ জমবে।
কার্পেটের স্টলের কর্মচারী নাঈম ঢাকা পোস্টকে বলেন, গত শুক্র ও শনিবার জমজমাট ছিল মেলা। আগারগাঁওয়ের মতোই মেলা জমবে ইনশাআল্লাহ। কারণ প্রতিদিনই কমবেশি মানুষ মেলায় আসছে। ২০ জানুয়ারির পর থেকে মেলা দারুণ জমবে।
উল্লেখ্য, ঢাকা আন্তর্জাতিক বাণিজ্য মেলার ২৬তম আসরের পর্দা উঠেছে নতুন বছরের প্রথম দিন। পূর্বাচলে বঙ্গবন্ধু বাংলাদেশ-চায়না ফ্রেন্ডশিপ এক্সিবিশন সেন্টারে (বিবিসিএফইসি) মেলার উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
বাণিজ্য মন্ত্রণালয় ও রফতানি উন্নয়ন ব্যুরোর যৌথ উদ্যোগে ১৯৯৫ সাল থেকে বাণিজ্য মেলার আয়োজন করে আসছে। তবে এবারই প্রথম স্থায়ী মেলা কমপ্লেক্সে মেলার আয়োজন করা হয়েছে। প্রতিদিন সকাল ১০টা থেকে রাত ৯টা পর্যন্ত এবং সাপ্তাহিক ছুটির দিনে রাত ১০টা পর্যন্ত মেলা চলে। প্রবেশ মূল্য বড়দের জন্য ৪০ টাকা এবং শিশুদের জন্য ২০ টাকা।
সাধারণ দর্শনার্থীদের যাতায়াতের সুবিধার্থে কুড়িল বিশ্বরোড থেকে মেলা প্রাঙ্গণ পর্যন্ত বিআরটিসি বাসের ব্যবস্থা করা হয়েছে। কুড়িল থেকে বাণিজ্য মেলা পর্যন্ত ৩০টি স্পেশাল বাস চলছে। ভাড়া জনপ্রতি ৩০ টাকা। মতিঝিল ও মিরপুর থেকেও মেলা প্রাঙ্গণ পর্যন্ত বিআরটিসি বাস চলবে।
বাণিজ্য মেলায় বিভিন্ন ক্যাটাগরির মোট ২৩টি প্যাভিলিয়ন, ২৭টি মিনি প্যাভিলিয়ন, ১৬২টি স্টল এবং ১৫টি ফুড স্টল দেশি-বিদেশি প্রতিষ্ঠানকে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। যা অন্য বছরের তুলনায় অর্ধেক। মেলায় মাত্র ১১টি প্রতিষ্ঠানের বিদেশি স্টল থাকবে। মেলা কমপ্লেক্সের বাইরে প্যাভিলিয়ন, মিনি প্যাভিলিয়ন ও ফুড স্টলও রয়েছে।
এসআর/ওএফ