ঢাকা আন্তর্জাতিক বাণিজ্য মেলায় যারা প্যাভিলিয়ন ও স্টল দিয়েছেন তাদের সাময়িক মূসক বা ভ্যাট নিবন্ধন নিতে হবে। একইসঙ্গে জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) বেশ কিছু নির্দেশনা মানতে হবে।

ভ্যাট বা মূসকসহ বিভিন্ন কর আদায়ের জটিলতা দূর করতে এনবিআর থেকে গত ১ জানুয়ারি ওই বিশেষ নির্দেশনা জারি করা হয়। শনিবার (৮ জানুয়ারি) এনবিআরের জনসংযোগ দফতর সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।

নির্দেশনায় বলা হয়, এ বছর ঢাকা আন্তর্জাতিক বাণিজ্য মেলা আগারগাঁওয়ের পরিবর্তে নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জের পূর্বাচলে অবস্থিত মেলার স্থায়ী অবকাঠামোতে অনুষ্ঠিত হচ্ছে। মেলার মূসক আদায় সংক্রান্ত কার্যক্রম ঢাকার কাস্টমস, এক্সাইজ ও ভ্যাট কমিশনারেটের (পশ্চিম) মাধ্যমে পরিচালিত হতো। কিন্তু বর্তমানে মেলার স্থান কাস্টমস, এক্সাইজ ও ভ্যাট কমিশনারেট, ঢাকা-পূর্ব এর অধীনে। সে কারণে বাণিজ্য মেলা থেকে মূসক আদায় সংক্রান্ত সাধারণ আদেশ নতুন করে জারি করার প্রয়োজনীয়তা দেখা দিয়েছে। ফলে মেলার স্টল থেকে সরবরাহকৃত পণ্যের বিপরীতে প্রযোজ্য মূসক আদায়ের জন্য কর পরিশোধ পদ্ধতি নির্ধারণ করা প্রয়োজন।

নির্দেশনাগুলোর মধ্যে রয়েছে;

>>ঢাকা আন্তর্জাতিক বাণিজ্য মেলায় অংশগ্রহণ করা সকল প্রতিষ্ঠানকে মেলার স্টলের জন্য পৃথকভাবে কাস্টমস, এক্সাইজ ও ভ্যাট কমিশনারেট, ঢাকা-পূর্ব থেকে মেলার সময়ের জন্য সাময়িক মূসক নিবন্ধন গ্রহণ করতে হবে। এ স্টল কেন্দ্রীয় নিবন্ধনের অন্তর্ভুক্ত করা হবে। বাংলাদেশের যেকোনো কাস্টমস, এক্সাইজ ও ভ্যাট কমিশনারেটের আওতায় কেন্দ্রীয়ভাবে নিবন্ধিত প্রতিষ্ঠান বাণিজ্য মেলায় অংশগ্রহণ করলে মেলার স্টলের জন্য পৃথকভাবে সাময়িক নিবন্ধন গ্রহণ করতে হবে।

>>মেলার স্টলের জন্য যেহেতু পৃথক সাময়িক নিবন্ধন গ্রহণ করতে হবে তাই সাধারণভাবে কেন্দ্রীয় নিবন্ধিত কোনো উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠান মেলাতে কোনো আউটলেট বা স্টল স্থাপন করলে বিক্রয়ের জন্য কর চালানপত্র ফরম মূসক-৬.৩ এর মাধ্যমে সরবরাহ করতে হবে। প্রযোজ্য হারে মূসক কেন্দ্রীয় নিবন্ধন প্রদানকারী মূল কমিশনারেটের কোডে জমা প্রদান করতে হবে।

>>কেন্দ্রীয় নিবন্ধিত এরূপ প্রতিষ্ঠান মেলার স্টল হতে ক্রেতা/চূড়ান্ত ভোক্তার নিকট পণ্য সরবরাহের ক্ষেত্রে মেলার স্টলের অনুকূলে ইস্যুকৃত সাময়িক নিবন্ধন নম্বরের বিপরীতে ব্যবসায়ী পর্যায়ে ঢাকা পূ্র্ব কাস্টমস ও ভ্যাট অফিসের কোডে ট্রেজারি চালানের মাধ্যমে জমা প্রদান করবে।

>>কেন্দ্রীয় নিবন্ধিত প্রতিষ্ঠানের স্টল থেকে যেসব ক্ষেত্রে অগ্রিম/বুকিং মানি গ্রহণ করা হয়ে থাকে কিন্তু মেলার স্টল হতে ক্রেতার নিকট ডেলিভারি বা সরবরাহ প্রদান না করে পরবর্তীকালে উক্ত কেন্দ্রীয় নিবন্ধিত উৎপাদনস্থল বা কেন্দ্রীয় নিবন্ধনভুক্ত কোনো সরবরাহ স্থল থেকে সরবরাহ করা হয়ে থাকে, সে ক্ষেত্রে প্রযোজ্য হারে মূসক কেন্দ্রীয় নিবন্ধন প্রদানকারী মূল কমিশনারেটের কোডে জমা প্রদান করতে হবে।

>>সাময়িক নিবন্ধন গ্রহণ করেছে মেলায় অংশগ্রহণকারী সকল প্রতিষ্ঠান মেলা শেষে কাস্টমস, এক্সাইজ ও ভ্যাট কমিশনারেট, ঢাকা (পূর্ব) এর রিটার্ন দাখিল করতে হবে।

>>মেলায় অংশগ্রহণে ইচ্ছুক বিদেশি স্টলসমূহকেও কাস্টমস, এক্সাইজ ও ভ্যাট কমিশনারেট, ঢাকা (পূর্ব) থেকে মেলা চলাকালীন সাময়িক নিবন্ধন গ্রহণ করতে হবে এবং মেলার স্টল হতে পণ্য/ সেবা সরবরাহের বিপরীতে প্রযোজ্য মূসক যথারীতি পরিশোধ করে কাস্টমস, এক্সাইজ ও ভ্যাট কমিশনারেট, ঢাকা (পূর্ব) এর কোডে জমা প্রদান করতে হবে। অনুরূপভাবে অন্যান্য নিয়ম মানতে হবে।

এবারে মেলায় বিভিন্ন ক্যাটাগরির ২৩টি প্যাভিলিয়ন, ২৭টি মিনি প্যাভিলিয়ন, ১৬২টি স্টল এবং ১৫টি ফুড স্টল রয়েছে। এর মধ্যে তুরস্ক, ইরান, ভারত, পাকিস্তান, থাইল্যান্ডসহ বিদেশি প্রতিষ্ঠানের ১১টি স্টল রয়েছে। গত ১ জানুয়ারি রাজধানীর পূর্বাচলে বঙ্গবন্ধু বাংলাদেশ-চীন মৈত্রী এক্সিবিশন সেন্টারে (বিবিসিএফইসি) মাসব্যাপী ঢাকা আন্তর্জাতিক বাণিজ্য মেলার (ডিআইটিএফ) উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

আরএম/এসকেডি