প্রথম বারের মতো পূর্বাচলে শুরু হয়েছে ঢাকা আন্তর্জাতিক বাণিজ্য। মেলা শুরুর ষষ্ঠ দিন অতিবাহিত হলেও ক্রেতা-দর্শনার্থীদের সমাগম আশানুরূপ নয়। তাই মন ভালো নেই বিক্রেতাদের। তবে আগামীকাল শুক্রবার ছুটির দিন থেকে মেলায় ক্রেতা-দর্শনার্থীদের সমাগম বাড়বে বলে আশাবাদী বিক্রেতারা।

বৃহস্পতিবার (৬ জানুয়ারি) মেলা প্রাঙ্গণ ঘুরে দেখা গেছে, বিকেল থেকে অল্প সংখ্যক দর্শনার্থী মেলায় প্রবেশ করছেন। বিকেল গড়িয়ে সন্ধ্যা হলে দর্শনার্থীদের সংখ্যা কিছুটা বাড়তে থাকে। মেলায় আসা দর্শনার্থীরা মেলার বিভিন্ন স্টল ঘুরে ঘুরে দেখার পাশাপাশি টুকটাক কেনাকাটাও করেন। তাছাড়া এখনও মেলার অনেক স্টলের কাজ শেষ না করতে পারার চিত্রও দেখা গেছে।

দর্শনার্থী ও বিক্রেতাদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, রাজধানীর শেষ প্রান্তে মেলার আয়োজন করায় অনেক দর্শনার্থীর মধ্যে মেলা নিয়ে আগ্রহ কম। বিশেষ করে যাওয়া-আসার ঝামেলা নিয়ে নগরবাসীর মধ্যে এক ধরনের অনীহা বিরাজ করছে। 

উত্তর বাড্ডা এলাকার বাসিন্দা আকরাম সপরিবারে মেলায় এসেছেন। ঢাকা পোস্টের সঙ্গে কথা হয় আকরামের। তিনি বলেন, ‘আমি দেশের বাইরে থাকি। পুরো পরিবার নিয়ে মেলায় ঘুরতে এসেছি। পছন্দ হলে কিছু কেনাকাটাও করব।’

আরেক দর্শনার্থী ইকবাল মিয়া জানান, প্রথমবারের মতো এখানে মেলা বসেছে। মেলার পরিবেশ খুব সুন্দর এটা নিয়ে কোনো সন্দেহ নেই। তবে এখানে মেলা বসায় সুবিধা পাবে আশপাশের এলাকার মানুষ। আমাদের মতো যারা ঢাকার অন্য প্রান্তে থাকেন তাদের জন্য আসা-যাওয়া খুব কঠিন ব্যাপার। আমার বাসা ফার্মগেট এলাকায়। এদিকে একটা কাজ ছিল তাই মেলা ঘুরে দেখার সুযোগ হাতছাড়া করিনি। তা না হলে এত দূরে মেলায় আসা হতো না আমার। 

ক্রোকারিজ পণ্যের স্টল এসকেবির স্টল ইনচার্জ জয় বলেন, মেলা এখনও সেভাবে জমেনি। এখনও দর্শনার্থীদের উপস্থিতি কম। আর এখনও যারা আসছেন মেলায় তাদের বেশিরভাগই দেখতে আসছেন। তবে আগামীকাল শুক্রবার ছুটির দিন থেকে ক্রেতা-দর্শনার্থীর ভিড় বাড়বে বলে আশা করছি। আর আমাদের বিক্রিও বাড়বে।

 

ওয়ালটনের অতিরিক্ত পরিচালক গবেষণা ও উন্নয়ন (আরঅ্যান্ডডি) মো. প্রিন্স হোসেন বলেন, মেলাতে নতুন ছয়টি মডেলের আকর্ষণীয় ডিজাইনের ফ্রিজসহ ৬৫টির বেশি মডেলের ফ্রিজ এনেছে কোম্পানিটি। মেলার শুরুর পর থেকে গত কয়েকদিন সেই অর্থে দর্শনার্থী বা ক্রেতার উপস্থিতি ছিল না। আশা করছি, ছুটির দিন শুক্রবার থেকে দর্শনার্থী বাড়বে।

বাণিজ্য মেলার কর্তৃপক্ষ বলছে, এবার মেলায় বিভিন্ন ক্যাটাগরির ২৩টি প্যাভিলিয়ন, ২৭টি মিনি প্যাভিলিয়ন, ১৬২টি স্টল এবং ১৫টি ফুড স্টল রয়েছে। এরমধ্যে তুরস্ক, ইরান, ভারত, পাকিস্তান, থাইল্যান্ডসহ বিদেশি প্রতিষ্ঠানের ১১টি স্টল রয়েছে।

গত শনিবার রাজধানীর পূর্বাচলে বঙ্গবন্ধু বাংলাদেশ-চীন মৈত্রী এক্সিবিশন সেন্টারে (বিবিসিএফইসি) মাসব্যাপী ঢাকা আন্তর্জাতিক বাণিজ্য মেলার (ডিআইটিএফ) উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

এনআই/এসকেডি