বিজয় দিবসে ৪২ বিলিয়ন ডলারের রিজার্ভ জাতির জন্য উপহার: অর্থমন্ত্রী
করোনাভাইরাসের প্রকোপের মধ্যেও শুধু ডিসেম্বরের ১৪ দিনে ১.০৩৪ বিলিয়ন মার্কিন ডলারের রেমিট্যান্স পাঠিয়েছেন প্রবাসীরা। যা গত অর্থবছরের ঠিক এই সময়ে ছিল ৮৬৯ মিলিয়ন মার্কিন ডলার।
মঙ্গলবার (১৫ ডিসেম্বর) এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়েছে অর্থমন্ত্রণালয়।
বিজ্ঞাপন
এতে জানানো হয়, জুলাই-নভেম্বর পাঁচ মাসে মোট ১০ দশমিক ৯০ বিলিয়ন ডলারের রেমিট্যান্স এসেছিল। ২০২০-২১ অর্থবছরের ১ জুলাই থেকে ১৫ ডিসেম্বর পর্যন্ত সময়ে মোট ১২ বিলিয়ন ডলারের রেমিট্যান্স এসেছে দেশে। প্রবাসী আয়ের এ ঊর্ধ্বমুখী ধারা অব্যাহত থাকার জন্য সরকারের সময়োপযোগী ২ শতাংশ নগদ প্রণোদনাসহ বিভিন্ন পদক্ষেপের গুরুত্বপূর্ণ প্রভাব রয়েছে।
করোনার মধ্যেও নিয়মিত রেমিট্যান্স পাঠিয়েছেন প্রবাসীরা। কঠিন সময়ে প্রবাসীদের পাঠানো রেমিট্যান্স বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভকে শক্তিশালী করেছে। অর্থনীতির চাকাকে বেগবান রাখতে বড় অবদান রাখেছে প্রবাসীদের রেমিট্যান্স।
বিজ্ঞপ্তিতে অর্থমন্ত্রী আ হ ম মোস্তফা কামাল বলেন, বাংলাদেশের ইতিহাসে এযাবতকালের মধ্যে সর্ব্বোচ্চ বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ ৪২.০৯ বিলিয়ন মার্কিন ডলারে উন্নীত হয়েছে। গত এক বছরে রিজার্ভ বেড়েছে ১ হাজার কোটি ডলারের বেশি। গত বছরের ১৫ ডিসেম্বর রিজার্ভ ছিল ৩২ দশমিক ১১ বিলিয়ন ডলার। গত ২৯ অক্টোবর তা প্রথমবারের মত ৪১ বিলিয়ন ডলার অতিক্রম করে। মাত্র দেড় মাসের ব্যবধানে তা দাঁড়িয়েছে ৪২.০৯ বিলিয়ন মার্কিন ডলারে।
মন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশের ইতিহাসে বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ ৪২.০৯ বিলিয়ন মার্কিন ডলার আমাদের জন্য অত্যন্ত সুখবর। এটি দেশের ইতিহাসে বিরল ঘটনা। বিজয় দিবসের প্রাক্কালে এ ঘটনা অবশ্যই জাতির জন্য একটি উপহার। অপ্রত্যাশিত অভিঘাত কোভিড-১৯-এর সংকটের মধ্যে আমাদের রেমিট্যান্স যোদ্ধারা কষ্ট করে অর্থ পাঠিয়ে আমাদের অর্থনীতিকে গতিশীল রেখেছেন। চলতি ডিসেম্বরের ১৫ তারিখ পর্যন্ত প্রবাসী আয় এসেছে ১ বিলিয়ন ডলারেরও বেশি। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দৃঢ় নেতৃত্বে সরকারের এ অভূতপূর্ব সাফল্য অর্জন।
এসআর/এসএম