বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর (বিবিএস) জনশুমারি ও গৃহগণনা প্রকল্পে দেশীয় ট্যাব ব্যবহারের কথা বলেছেন অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল। ট্যাব কেনার প্রস্তাব বারবার ফেরত পাঠানো হচ্ছে কেন এমন প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী এ কথা বলেন।

আজ সোমবার (২০ ডিসেম্বর) সচিবালয়ে অনুষ্ঠিত সরকারি ক্রয় সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির ভার্চুয়াল সভায় ট্যাব কেনার বিষয়ের আবেদন আগামী ক্রয় কমিটিতে আবার প্রস্তাবের জন্য বলা হয়েছে। সভায় সভাপতিত্ব করেন অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল। সভা শেষে অর্থমন্ত্রী সাংবাদিকদের এ কথা বলেন।

সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে অর্থমন্ত্রী বলেন, জনশুমারি ও গৃহগণনা প্রকল্পের আওতায় ট্যাব কেনার প্রস্তাবটি ঠিক করে পাঠানোর জন্য বলা হয়েছে। এছাড়া শুমারির কথা বিবেচনা করে আগামী ১০ দিনের মধ্যে ক্রয় কমিটিতে প্রস্তাবটি পাঠানোর অনুরোধ করা হয়েছে। বিবিএস প্রস্তাবটি পরবর্তীতে পাঠালে ক্রয় কমিটিতে আবারও তোলা হবে।

আরেক প্রশ্নের জবাবে অর্থমন্ত্রী আরও বলেন, আমরা দেশের প্রোডাক্ট ব্যবহার করতে চাই। আমরা রফতানি করা পণ্য ব্যবহার করতে চাই না। আমাদের দেশে যেসব পণ্য তৈরি করা হচ্ছে সেগুলোই আমরা ব্যবহার করতে চাই। এটা আমাদের ডিজিটাল বাংলাদেশের জন্য গৌরবের হবে। তাই বিবিএস-কে বলা হয়েছে, আরও তথ্য-প্রমাণ দিয়ে প্রস্তাবটি পাঠাতে হবে।  

জানা যায়, তৃতীয়বারের মতো সরকারি ক্রয় সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটি থেকে বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর (বিবিএস) ট্যাব কেনার প্রস্তাব ফেরত পাঠানো হয়েছে। যার ফলে প্রতিনিয়তই পিছিয়ে যাচ্ছে জনশুমারি ও গৃহগণনা প্রকল্পের মূল কাজ। এর আগে সরকারি ক্রয় সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটিতে দুইবার ফেরত যায় প্রায় ৪ লাখ ট্যাব কেনার প্রস্তাবটি। প্রথম টেন্ডারে ফেয়ার ইলেকট্রনিক্স লিমিটেডের কাছ থেকে ট্যাব কিনতে সুপারিশ করেছিল ছিল বিবিএস-এর মূল্যায়ন কমিটি। দ্বিতীয়বারের মতো আবারও ওই একই কোম্পানির পক্ষে মত দিয়ে ক্রয় কমিটিতে প্রস্তাব পাঠায় বিবিএস। তবে দ্বিতীয়বার প্রস্তাবটি নিজ উদ্যোগে বিবিএস তাদের প্রস্তাবটি প্রত্যাহার করে নেয়।

বাংলাদেশ কম্পিউটার সমিতির (বিসিএস) জানায়, ৩৫ বছর ধরে বাংলাদেশ কম্পিউটার সমিতি প্রযুক্তি ব্যবসায়ীদের স্বার্থ নিয়ে কাজ করে যাচ্ছে। বিসিএস সর্বদা স্বচ্ছ এবং জবাবদিহিতামূলক প্রক্রিয়ার পক্ষে কথা বলে। প্রযুক্তি পণ্যের ক্ষেত্রে সবসময় হালনাগাদ ডিভাইস ব্যবহার করা উচিৎ। এক্ষেত্রে নির্দিষ্ট কোনো পণ্য নির্মাতা প্রতিষ্ঠান বা বিপণন প্রতিষ্ঠানকে এককভাবে সুবিধা দেওয়া হলে অন্যান্য প্রতিষ্ঠানে এর নেতিবাচক প্রভাব পরিলক্ষিত হয়। ডিজিটাল বাংলাদেশ বিনির্মাণে সর্বোচ্চ প্রযুক্তির সুষম ব্যবহার এবং প্রতিযোগিতামূলক বাজার সৃষ্টিতে সরকার বরাবর আন্তরিক।

এসআর/এইচকে