পুঁজি হারানোর মাসে বিও বেড়েছে ৯ হাজার
পুঁজি অর্থাৎ বাজার মূলধন হারানোর মাসে বেনিফিশিয়ারি ওনার্স (বিও) অ্যাকাউন্ট বেড়েছে ৯ হাজার। বিও হিসাব সংরক্ষণকারী প্রতিষ্ঠান সেন্ট্রাল ডিপোজিটরি অব বাংলাদেশ (সিডিবিএল) সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
প্রতিষ্ঠানটির তথ্য মতে, গত ৩১ অক্টোবর দুই পুঁজিবাজারে বিনিয়োগকারীদের বিও হিসাবের সংখ্যা ছিল ২০ লাখ ১০ হাজার ২৫৫টি। সেখান থেকে ৯ হাজার ২৮৩টি বেড়ে ৩০ নভেম্বর এ সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ২০ লাখ ১৯ হাজার ৭৮৩টিতে।
বিজ্ঞাপন
মূল্য সংশোধন ও পুঁজিবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) সঙ্গে বাংলাদেশ ব্যাংকের ভুল বোঝাবুঝি ইস্যুকে কেন্দ্র করে বেশিরভাগ দিন দরপতন হয়েছে। আর এই দরপতনে বিনিয়োগকারীদের ২৩ হাজার কোটি টাকার ক্ষতি হয়েছে বলে মনে করেন বাজার সংশ্লিষ্টরা।
তারা বলছেন, তারপরও যারা পুঁজিবাজারে আসছেন তারা প্রাথমিক গণপ্রস্তাবে (আইপিও) আবেদন করতে আসছেন। কারণ এখন আইপিওতে আবেদন করলেই শেয়ার বরাদ্দ পাচ্ছেন। কয়েকদিন অপেক্ষার পর এই শেয়ার কয়েকগুণ লাভে বিক্রি করে দিচ্ছেন। তাতে অনেক মুনাফা পাচ্ছেন বিনিয়োগকারীরা।
উল্লেখ্য, নভেম্বরে মাসে দেশের পুঁজিবাজারের ২২ কার্যদিবস লেনদেন হয়েছে। এর মধ্যে ১৩ কার্যদিবস পতন হয়েছে। আর মাত্র ৯ কার্যদিবস সূচক বেড়েছে। ফলে বেশির ভাগ কোম্পানির শেয়ারের দামও সূচক কমেছে ২৯৭ পয়েন্ট। আর তাতে বিনিয়োগকারীদের ২৩ হাজার কোটি টাকা মূলধন নেই হয়েছে।
ডিএসইর তথ্য মতে, অক্টোবর মাসের শেষ কার্যদিবস ডিএসইর বাজার মূলধন ছিল ৫ লাখ ৫৯ হাজার ৫২৩ কোটি ৬৩ লাখ ৭২ হাজার টাকা। সেখান থেকে ২৩ হাজার ২৮ কোটি ৯৪ লাখ ৫৭ হাজার টাকা বেড়ে গত ৩০ নভেম্বর বাজার মূলধন দাঁড়ায় ৫ লাখ ৩৬ হাজার ৪৯৪ কোটি ৬৯ লাখ ১৫ হাজার টাকায়।
এমআই/এনএফ