গ্রাহকের কোনো অভিযোগ ছাড়াই ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদফতরসহ বিভিন্ন সরকারি সংস্থা দেশের বিভিন্ন রেস্তোরাঁয় অভিযান পরিচালনা করে বলে অভিযোগ উঠেছে।

শনিবার (২০ নভেম্বর) রাজধানীর প্যান প্যাসিফিক সোনারগাঁও হোটেলে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এ দাবি করেন  বাংলাদেশ রেস্তোরাঁ মালিক সমিতির মহাসচিব ইমরান হাসান। এ সময় সমিতির সভাপতি মো. ওসমান গণিসহ অন্য সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।

লিখত বক্তব্যে মহাসচিব ইমরান হাসান বলেন, দেশের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ খাত রেস্তোরাঁ। এ খাতে প্রায় দুই কোটি মানুষ প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে জড়িত। কিন্তু বর্তমানে রেস্তোরাঁ খাতকে ১১টি সংস্থার অধীনে কাজ করতে হয়। প্রতিবছর নতুন করে লাইসেন্স গ্রহণ বা নবায়নে ছোট ছোট উদ্যোক্তারা অনেক হয়রানির শিকার হচ্ছেন। পাশাপাশি আর্থিকভাবেও অনেক ক্ষতিগ্রস্ত হন। এজন্য সরকারি সংস্থাগুলোর মধ্যে সমন্বয় করে ওয়ান স্টপ সার্ভিসের মাধ্যমে একটি মন্ত্রণালয় বা সংস্থা বা অধিদফতর থেকে অনুমতি প্রদান জরুরি। টাস্কফোর্স গঠন করে রেস্তোরাঁ খাতকে একটি মন্ত্রণালয়ের আওতায় আনতে হবে।

সংবাদ সম্মেলনে বলা হয়, সরকারি হিসেবে দেশে চার লক্ষাধিক রেস্তোরাঁ রয়েছে। দেশের অর্থনীতিতে এ খাতের অবদান অনেক। কিন্তু সরকারিভাবে শিল্পের মর্যাদা না দেওয়ায় চরম অবহেলিত এ খাতটি। কাজেই অবিলম্বে হোটেল-রেস্তোরাঁ খাতকে শিল্পের মর্যাদা প্রদান করতে হবে।

এ সময় বক্তারা বলেন, ভ্রাম্যমাণ আদালতের চরম নৈরাজ্য চলছে। এ দেশে খোলা ফুটপাতে বা যেখানে সেখানে খাবার তৈরি ও বিক্রি হয়, কিন্তু সেখানে কোনো অভিযান পরিচালনা করা হয় ন। আমরা যারা বিপুল পরিমাণ অর্থ বিনিয়োগ করে রেস্তোরাঁ ব্যবসা পরিচালনা করি, সেখানে অহেতুক ভয় দেখানো হয়। ভ্রাম্যমাণ আদালত বিধি মোতাবেক পরিচালনা করতে হবে।

বক্তারা আরও বলেন, ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে বাংলাদেশে একটি ভুল বার্তা প্রচার হচ্ছে। যেখানে বলা হচ্ছে আমরা ভেজাল খাবার পরিবেশন করছি। এটা সত্য যে শতভাগ স্বাস্থ্যকর খাবার পরিবেশন করা হয় না। তবে ৯৯ শতাংশ রেস্তোরাঁর খাবারই নিরাপদ। কিন্তু রাস্তায় যারা আরও খারাপ পরিবেশে খাবার তৈরি ও বিক্রি করে তাদের কোনো শাস্তি দেওয়া হয় না। রেস্তোরাঁ মালিক সমিতি মনে করে, দেশের স্ট্রিট ফুড থেকে শুরু করে যেকোনো রেস্তোরাঁকে ভ্যাট নিবন্ধনের আওতায় আনতে হবে। এতে লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড তৈরি হবে।

তারা বলেন, ই-কমার্সের টেকওয়ে, পার্সেল ও অনলাইন ডেলিভারি প্রতিষ্ঠান স্বেচ্ছাচারীভাবে ব্যবসা পরিচালনা করছে। এ জন্য টেকওয়ে, পার্সেল ও অনলাইন ডেলিভারির ক্ষেত্রে বর্তমান ই-কমার্স নীতিমালা অনুযায়ী ডেলিভারি কোম্পানিগুলোর শুধু ডেলিভারি চার্জ নেওয়ার কথা। অথচ সেখানে তারা ইচ্ছামত কমিশন চার্জ করছে।

এমআই/এসকেডি