স্বল্পোন্নত দেশের (এলডিসি) তালিকা থেকে বের হয়ে উন্নয়নশীল দেশের মর্যাদা পাওয়ার পরও যেন বাংলাদেশ পণ্য রফতানিতে যুক্তরাজ্যের বাজারে শুল্কমুক্ত সুবিধা পায়, এজন্য দেশটির সংসদ সদস্যদের (এমপি) সহায়তা চেয়েছে তৈরি পোশাকশিল্প মালিকদের সংগঠন বিজিএমইএ।

রোববার (১৪ নভেম্বর) লন্ডনে ব্রিটিশ পার্লামেন্টের দুই সদস্য রুশনারা আলী ও রুপা হকের সঙ্গে সাক্ষাৎকালে এই সহায়তা চান বিজিএমইএর সভাপতি ফারুক হাসান। সংগঠনটির পক্ষ থেকে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

বিজিএমইএ জানায়, বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত ব্রিটিশ দুই রাজনীতিবিদের সঙ্গে স্বল্পোন্নত দেশ থেকে উত্তরণ, শুল্কব্যবস্থায় সম্ভাব্য পরিবর্তন এবং এলডিসি-পরবর্তী যুগে কীভাবে বাংলাদেশ যুক্তরাজ্যের বাজারে প্রবেশাধিকার ধরে রাখতে পারে, সে বিষয়ে আলোচনা হয়েছে।

বিজিএমইএর সভাপতি যুক্তরাজ্যে বসবাসরত প্রবাসী বাংলাদেশিদের দেশে বেশি মূল্য সংযোজিত পণ্য এবং কৃত্রিম তন্তুর কাপড় উৎপাদনের মতো সম্ভাবনাময় খাতে বিনিয়োগে উৎসাহিত করার ব্যাপারে ব্রিটিশ সাংসদদের সহযোগিতা চান।

ইপিবি সূত্রে জানা গেছে, গত ২০১৮-১৯ অর্থবছরে যুক্তরাজ্যের বাজারে বাংলাদেশ ৩৮৫ কোটি ডলারের তৈরি পোশাক রফতানি করে। পরের বছর করোনাকালে সেটি কমে ৩১৭ কোটি ডলার হয়। সর্বশেষ ২০২০-২১ অর্থবছরে আবার পোশাক রফতানি বেড়ে ৩৪৪ কোটি ডলারে ওঠে।

দীর্ঘদিন ধরে যুক্তরাজ্যের বাজারে শুল্কমুক্ত সুবিধা পাচ্ছে বাংলাদেশ। ব্রেক্সিটের পরও যুক্তরাজ্যের বাজারে এই সুবিধা বজায় আছে। তবে এলডিসি থেকে বাংলাদেশের উত্তরণের পর সুবিধাটি আর থাকবে না। তাই ওই সময় যেন বাংলাদেশ শুল্কমুক্ত সুবিধা পায় এজন্য যুক্তরাজ্যের সহযোগিতা চেয়েছে দেশের পোশাক ব্যবসায়ীরা।

এসআই/এমএইচএস