আয়কর রিটার্ন জমা দেওয়ার সময় আর বাড়ানো হবে না। আগামী ৩০ নভেম্বরই রিটার্ন জমা দেওয়ার শেষ দিন।

রোববার (১৪ নভেম্বর) জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) প্রধান কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত এক বিশেষ সভা থেকে সময় না বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। সংস্থাটির চেয়ারম্যান আবু হেনা মো. রহমাতুল মুনিমের নেতৃত্বে ওই সভা অনুষ্ঠিত হয় বলে জানা গেছে।

সভায় উপস্থিত এনবিআরের ঊর্ধ্বতন এক কর্মকর্তা ঢাকা পোস্টকে বলেন, যেহেতু করোনা পরিস্থিতি অনেকটাই স্বাভাবিক। করদাতারাও স্বাভাবিকভাবে আয়কর রিটার্ন দাখিল করতে পারছেন। আয়কর অফিসেও করদাতাদের স্বতঃস্ফূর্ত উপস্থিতি লক্ষ্য করা গেছে। তাই আয়কর আইন অনুযায়ী নির্ধারিত সময়ের মধ্যেই করদাতাদের রিটার্ন জমা দেওয়ার জন্য আহ্বান থাকবে।

তিনি আরো বলেন, যারা আয়কর রিটার্ন জমা দেবেন, তাদের নির্ধারিত ৩০ নভেম্বরের মধ্যেই রিটার্ন জমা দিতে হবে। তবে আবেদন সাপেক্ষে করদাতারা চাইলেই সময় বৃদ্ধি করতে পারবেন। এক্ষেত্রে কর কমিশনারদের নির্দেশনা দেওয়া আছে, যে সময় বৃদ্ধির আবেদন পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই যেন রিটার্ন জমা দেওয়ার সময় দেন।

যদিও করোনাভাইরাসের কারণে গত বছরের মতো এবারও আয়কর মেলা হয়নি। তবে প্রতিটি কর অঞ্চল কার্যালয়ে কর মেলার সুবিধা রয়েছে। কর অফিসগুলোতেও করদাতাদের উপস্থিতি ধীরে ধীর বাড়ছে।

এরপরও করদাতারা নির্ধারিত সময়ের মধ্যে রিটার্ন দিতে না পারলে যৌক্তিক কারণ দেখিয়ে দুই থেকে চার মাস পর্যন্ত সময় বাড়িয়ে নেওয়া যায়। এজন্য নির্ধারিত ফরমে আবেদন করতে হয়। তখন একজন কর কর্মকর্তা আয়কর অধ্যাদেশ অনুযায়ী জরিমানা, করের ওপর ৫০ শতাংশ অতিরিক্ত সরল সুদ কিংবা করের টাকার উপর মাসিক ২ শতাংশ হারে বিলম্ব সুদ আরোপ করতে পারবেন। আবেদন করে সময় পেলেও বিলম্ব সুদ দিতে হবে, জরিমানা দিতে হবে না।

কয়েক বছর আগেও প্রতিবার রিটার্ন জমার সময় বাড়ানো হত। কিন্তু ২০১৬ সালে আয়কর অধ্যাদেশে পরিবর্তন এনে ৩০ নভেম্বর জাতীয় কর দিবসের পর রিটার্ন জমা না নেওয়ার সিদ্ধান্ত হয়। সময় বাড়ানোর পথটি বন্ধ হয়ে যায়।

বর্তমানে দেশে প্রায় ৬৮ লাখ কর শনাক্তকারী নম্বরধারী (টিআইএন) আছেন। তাদের মধ্যে ২৫ লাখের মতো টিআইএনধারী করদাতা রিটার্ন দেন বলে জানা গেছে।

আরএম/জেডএস