প্রশ্নফাঁসে জড়িত থাকায় পূবালী ব্যাংক কর্মকর্তা বরখাস্ত
সরকারি পাঁচ ব্যাংকের নিয়োগ পরীক্ষার প্রশ্নপত্র ফাঁসের সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগে পূবালী ব্যাংকের প্রিন্সিপাল অফিসার মো. মোস্তাফিজুর রহমানকে বরখাস্ত করা হয়েছে। ইতোমধ্যে অভিযুক্ত এ কর্মকর্তাকে পুলিশের গোয়েন্দা বিভাগ (ডিবি) গ্রেফতার করেছে।
বুধবার (১০ নভেম্বর) ব্যাংকটির মানব সম্পদ উন্নয়ন (এইচআরডি) বিভাগের এক আদেশে তাকে বরখাস্ত করা হয় বলে ব্যাংকের সংশ্লিষ্ট ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা ঢাকা পোস্টকে নিশ্চিত করেছেন।
বিজ্ঞাপন
বহিষ্কার করা ওই কর্মকর্তা ব্যাংকের রাজধানীর ইমামগঞ্জ শাখায় কর্মরত ছিলন। ব্যাংকের জেনারেল ম্যানেজার আহমেদ এনায়েত মনজুর এবং ডেপুটি জেনারেল ম্যানেজার শহিদ খান স্বাক্ষর করা বহিষ্কারাদেশ মো. মোস্তাফিজুর রহমান বরাবর পাঠানো হয়েছে।
চিঠিতে উল্লেখ করা হয়েছে, মোস্তাফিজুর রহমান সাম্প্রতিক সময়ে ব্যাংকার্স সিলেকশন কমিটির আওতায় পাঁচ ব্যাংকের অফিসার (ক্যাশ) নিয়োগের প্রিলিমিনারি পরীক্ষার প্রশ্নপত্র ফাঁসের সঙ্গে জড়িত থাকায় তাকে বরখাস্ত করা হয়েছে।
তিনি এখন ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের গোয়েন্দা পুলিশের কাছে গ্রেফতার আছেন বলে চিঠিতে উল্লেখ করা হয়েছে।
উল্লেখ্য, গত শনিবার বাংলাদেশ ব্যাংকার্স সিলেকশন কমিটির আওতায় পাঁচ ব্যাংকের অফিসার (ক্যাশ) নিয়োগের প্রিলিমিনারি পরীক্ষার প্রশ্নপত্র ফাঁসের অভিযোগ উঠে। তাই পরীক্ষা বাতিলের দাবি করে আসছিলেন সাধারণ পরীক্ষার্থীরা।
এরপর গত থেকে বুধবার পর্যন্ত গোয়েন্দা তেজগাঁও বিভাগের তেজগাঁও জোনাল টিম বিশেষ অভিযান পরিচালনা করে। এ সময় বাংলাদেশ ব্যাংকের প্রশ্নফাঁসে জড়িত একটি চক্রের পাঁচজনকে গ্রেফতার করে পুলিশের গোয়েন্দা বিভাগ (ডিবি)। গ্রেফতারকৃতরা হলেন, আহছানউল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইসিটি টেকনিশিয়ান মোক্তারুজ্জামান রয়েল (২৬), জনতা ব্যাংকের গুলশান শাখার অফিসার শামসুল হক শ্যামল (৩৪), রূপালী ব্যাংকের সিনিয়র অফিসার জানে আলম মিলন (৩০), পূবালী ব্যাংকের সিনিয়র অফিসার মোস্তাফিজুর রহমান মিলন (৩৮) ও চাকরিপ্রার্থী স্বপন।
এসআই/ওএফ