মানুষের আয়ের পাশাপাশি বেড়েছে অর্থনীতির প্রবৃদ্ধি। এতে গত এক থেকে দেড় বছরে দেশের পুঁজিবাজারে অনেক উন্নতি হয়েছে। এখানে বিনিয়োগ করে সবচেয়ে বেশি রিটার্ন পাচ্ছেন বিনিয়োগকারীরা। এখন আপনারা (প্রবাসী) বিনিয়োগ করুন, বিনিয়োগ করলেই সবচেয়ে বেশি রিটার্ন পাবেন।

বৃহস্পতিবার (৪নভেম্বর) লন্ডনের কুইন এলিজাবেথ সেন্টারে ‘বাংলাদেশ ইনভেস্টমেন্ট সামিট ২০২১ : বিল্ডিং সাসটেইনেবল গ্রোথ পার্টনারশিপ অ্যান্ড রোড শো’র অনুষ্ঠানে লন্ডনে অবস্থানরত প্রবাসী ও ব্রিটিশ ব্যবসায়ীদের এই আহ্বান জানান বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) চেয়ারম্যান অধ্যাপক শিবলী রুবাইয়াত-উল-ইসলাম। লন্ডনের একটি হোটেল থেকে ভার্চুয়ালি অনুষ্ঠানটির উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

শিবলী রুবাইয়াত-উল-ইসলাম বলেন, গত এক দশকে দেশের অর্থনীতির প্রবৃদ্ধি হয়েছে। এমনকি করোনার সময়েও আমাদের গ্রোথ দক্ষিণ এশিয়ার মধ্যে সব বেশি হয়েছে। দেশে পদ্মা সেতু, মেট্রোরেলসহ বড় বড় প্রকল্প চলমান রয়েছে। একইসঙ্গে মেধাবীরা নতুন নতুন আইডিয়া নিয়ে স্টার্টআপ কোম্পানি পরিচালনা করছেন। ফলে পুঁজিবাজার দেশের অর্থনীতিতে বড় অবদান রাখবে। দেশের অর্থনীতিতে নতুন সম্ভবনা তৈরি হয়েছে। এই মুহূর্তে বাংলাদেশে বিনিয়োগ করলে সবচেয়ে বেশি রিটার্ন পাবেন। এই সুযোগকে কাজে লাগাতে পুঁজিবাজারে বিনিয়োগ করুন।

বন্ড এখন সারাবিশ্বে জনপ্রিয় হচ্ছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, বাংলাদেশের পুঁজিবাজারে ট্রেজারি, সুকুক এবং গ্রিন বন্ডসহ নতুন নতুন বন্ড আনা হচ্ছে। এগুলোতে বিনিয়োগ করলে অনেক বেশি রিটার্ন পাবেন।

অনুষ্ঠানে পররাষ্ট্রমন্ত্রী একে এম আব্দুল মোমেন, ভূমিমন্ত্রী সাইফুজ্জামান চৌধুরী জাভেদ, প্রধানমন্ত্রীর বেসরকারি বিনিয়োগ উপদেষ্টা সালমান এফ রহমান, তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক, পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার হাসান, বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর ফজলে কবির, জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের চেয়ারম্যান আবু হেনা মোহাম্মদ রহমতুল মুনিম, লন্ডনে বাংলাদেশ হাইকমিশনার সাইদা মুনা তাসনিম,বাংলাদেশ রফতানি প্রক্রিয়াকরণ এলাকা কর্তৃপক্ষের (বেপজা) নির্বাহী চেয়ারম্যান মেজর জেনারেল মো. নজরুল ইসলাম, স্ট্যান্ডার্ড চাটার্ড ব্যাংক গ্রুপের চেয়ারম্যান ড. জোসে ভিনালস, বিনিয়োগ উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান সেরাজুল ইসলাম প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

শিবলী রুবাইয়াত-উল-ইসলাম বলেন, বাংলাদেশের পুঁজিবাজারের অনেক উন্নতি হয়েছে। গত এক থেকে দেড় বছরে পুঁজিবাজারের মূলধন বেড়েছে। এশিয়ার পুঁজিবাজারের মধ্যে সর্বোচ্চ রিটার্ন দিয়েছে।

বাংলাদেশে এ মুহূর্তে বিনিয়োগের আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, বাংলাদেশের অর্থনীতি দ্রুত এগিয়ে যাচ্ছে, বৈশ্বিক অস্থিরতা শোষণ ক্ষমতা রয়েছে, বৈদেশিক মুদ্রা বিনিময় হার স্ট্যাবল, সুদ হার অনুকূলে, বিনিয়োগের জন্য বাংলাদেশ সরকারের পূর্বানুমতির দরকার পড়ে না, নিটা অ্যাকাউন্টের মাধ্যমে সহজেই বিনিয়োগ করা যায়, মুনাফাসহ রিটার্ন ফেরতের ক্ষেত্রেও অনুমতি নিতে হয় না। সুতরাং খুব সহজেই বিদেশিরা বাংলাদেশে বিনিয়োগ করতে পারেন।

এছাড়া বাংলাদেশে বিনিয়োগের পরিবেশ অনুকূলে রয়েছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, এই পরিস্থিতিতে যুক্তরাজ্যবাসীকে বাংলাদেশে বিনিয়োগের আহ্বান জানাই। এতে উভয় পক্ষ লাভবান হবে।

অনুষ্ঠানে বক্তারা বলেন, বাংলাদেশ এখন বিনিয়োগের উত্তম জায়গা। বিশেষ করে জ্বালানি, নবায়নযোগ্য জ্বালানি, জাহাজ নির্মাণ, অটোমোবাইল, লাইন ইঞ্জিনিয়ারিং, অ্যাগ্রো প্রসেসিং, ব্লু-ইকোনোমি, ট্যুরিজম, হাইটেক ইন্ডাস্ট্রিজ, তথ্য-প্রযুক্তিসহ বিভিন্ন আকর্ষণীয় সেক্টরে সুবিধা নিয়ে বিদেশি বিনিয়োগের জন্য অপেক্ষা করছে বাংলাদেশ। ব্রিটিশ উদ্যোক্তারা বিনিয়োগের জন্য এসব সেক্টর বা এর বাইরে যে কোনো সেক্টর পছন্দ করতে পারেন।

এমআই/এসকেডি