১২ কেজি এলপিজির দাম বেড়ে ১৩১৩ টাকা
দেশে তরলীকৃত পেট্রোলিয়াম গ্যাসের (এলপিজি) দাম আবারও বাড়িয়েছে বাংলাদেশ এনার্জি রেগুলেটরি কমিশন (বিইআরসি)। বেসরকারি খাতে ১২ কেজি সিলিন্ডারের এলপিজি মূসকসহ সর্বোচ্চ খুচরা মূল্য এক হাজার ২৫৯ টাকা থেকে বাড়িয়ে এক হাজার ৩১৩ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। নতুন এ দাম আজ (৪ নভেম্বর) থেকে কার্যকর হবে।
বৃহস্পতিবার (৪ নভেম্বর) এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়েছে বিইআরসি।
বিজ্ঞাপন
এ বিষয়ে বিস্তারিত জানাতে রাজধানীর কারওয়ান বাজারের কার্যালয় থেকে ভার্চুয়াল সংবাদ সম্মেলনও করে প্রতিষ্ঠানটি। সংবাদ সম্মেলনে কমিশনের চেয়ারম্যান আব্দুল জলিল, সচিব রুবিনা ফেরদৌসী ও সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।
বিজ্ঞপ্তি অনুযায়ী এলপিজি গ্যাসে কেজি-প্রতি সাড়ে ৪ টাকা বেড়েছে। বেসরকারি পর্যায়ে নভেম্বর মাসের জন্য এলপিজি মূসকসহ কেজি প্রতি ১০৪ দশমিক ৯২ টাকা থেকে বাড়িয়ে ১০৯ টাকা ৪২ পয়সা করা হয়েছে।
এর আগে অক্টোবর মাসে এলপিজির দাম (১২ কেজি) এক লাফে ২২৬ টাকা বাড়ানো হয়েছিল। এবার বাড়ল ৫৪ টাকা।
বিইআরসির বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, একইসঙ্গে বেড়েছে পরিবহনে ব্যবহৃত এলপি গ্যাসের দামও। যা অটোগ্যাস নামে প্রচলিত। নভেম্বর মাসের জন্য অটোগ্যাসের দাম প্রতি লিটার ৫৮ দশমিক ৬৮ থেকে বাড়িয়ে ৬১ টাকা ১৮ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। লিটারে বেড়েছে ২ টাকা ৫০ পয়সা। অক্টোবরে এ গ্যাসের দাম বেড়েছিল ৮ টাকা ১২ পয়সা।
এতে আরও বলা হয়, সৌদি সিপি অনুসারে সেপ্টেম্বরের তুলনায় অক্টোবরে প্রোপেন ও বিউটেনের দাম বেড়ে যথাক্রমে টন প্রতি ৮৭০ ও ৮৩০ ডলার হয়েছে। মিশ্রণ অনুপাত ৩৫:৬৫ বিবেচনায় নভেম্বরের জন্য নতুন মূল্য নির্ধারণ করা হয়েছে।
জানা গেছে, এলপিজি তৈরির মূল উপাদান প্রপেন ও বিউটেন বিভিন্ন দেশ থেকে আমদানি করা হয়। প্রতি মাসে এলপিজির এই দুই উপাদানের মূল্য প্রকাশ করে সৌদি আরামকো। এটি কার্গো মূল্য (সিপি) নামে পরিচিত। এই সৌদি সিপি ভিত্তি মূল্য ধরে দেশে এলপিজির দাম সমন্বয় করছে বিইআরসি।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে এলপিজি দাম সমন্বয় করা হলেও সরকারের বেঁধে দেওয়া দাম মানেন না ব্যবসায়ীরা। খুচরা পর্যায়ে নির্ধারিত মূল্যের চেয়ে দেড়শ থেকে ২০০ টাকা বেশি দামে বিক্রি হয় এলপিজি সিলিন্ডার। ফলে এলপিজি ব্যবহারে বাড়তি অর্থ গুনতে হচ্ছে সাধারণ ভোক্তাদের। আর মুনাফা লুটছে কোম্পানি, ডিলার ও খুচরা ব্যবসায়ীরা।
এসআই/এসএম/জেএস