ছোট আকারের ফুলকপির পিস ৪০ টাকা
কিছুদিন ধরে বাজারে উঠছে নতুন সবজি ফুলকপি। নতুন ফুলকপি বাজারে ওঠায় আগ্রহ বেড়েছে ক্রেতাদের। তবে চড়া দামের কারণে এখনও সবজিটি সাধারণ ক্রেতাদের নাগালের বাইরে রয়েছে। নতুন এ সবজি ওঠার পর থেকে কিছুদিন ছোট আকারের ফুলকপি ৬০ টাকায় বিক্রি হলেও আজ একই ফুলকপি বিক্রি হচ্ছে প্রতি পিস ৪০ টাকায়।
শনিবার (২৩ অক্টোবর) সকাল থেকে রাজধানীর বিভিন্ন কাঁচা বাজার ঘুরে দেখা গেছে, আজও বাজারে বেশিরভাগ সবজিই চড়া দামে বিক্রি হচ্ছে। বিক্রেতারা বলছেন, আসন্ন শীত মৌসুমের সবজি ওঠার আগ পর্যন্ত বাজারে সবজির দাম এমন বাড়তিই থাকবে।
বিজ্ঞাপন
বাজার ঘুরে দেখা গেছে, প্রতি কেজি পটল ৫০ থেকে ৬০ টাকায়, বেগুন ৬০ থেকে ৭০ টাকায়, করোলা ৬০ থেকে ৭০ টাকায়, ঢেঁড়স ৫০ থেকে ৬০ টাকায়, ঝিঙ্গা ৬০ টাকায়, টমেটো ১৬০ টাকায়, গাজর ১২০ থেকে ১৪০ টাকায়, বরবটি ৮০ টাকায়, কাঁকরোল ৬০ টাকায়, মূলা ৬০ টাকা ও সিম ১২০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। সেই সঙ্গে কাঁচা মরিচের দাম গত কিছুদিনের চেয়ে অল্প কমে ১২০ টাকা প্রতি কেজিতে বিক্রি হচ্ছে।
রাজধানীর গুলশান সংলগ্ন কাঁচা বাজারে সকাল সকাল বাজার করতে আসা বেসরকারি চাকরিজীবী সাজেদুর রহমান বলেন, শীত প্রায় চলেই এলো তবু আমাদের মতো সাধারণ ক্রেতাদের চড়া দামেই প্রতিটি সবজি কিনতে হচ্ছে। বাজারে প্রতিটি সবজি বা কাঁচা পণ্যের দাম অতিরিক্ত, যা সাধারণ ক্রেতাদের ক্রয় ক্ষমতার বাইরে। আজ তিন/চার মাস ধরে সবকিছুর বাজার চড়া। বাজার মনিটরিংয়ের অভাবেই দ্রব্যমূল্য এমন ঊর্ধ্বগতিতে রয়েছে।
বাড্ডা কাঁচা বাজারের সবজি বিক্রেতা আলতাফ হোসেন বলেন, প্রতিটি সবজির বাজার কয়েক মাস ধরে চড়া এটা সত্য। অন্য যেকোনো বারের চেয়ে এবার সবজির দাম বেশি। আমাদের কেনা খুব বেশি পড়ছে। বেশি দামে কিনে বেশি দামে বিক্রি করায় ক্রেতাদের মধ্যে এক ধরনের অসন্তোষ দেখা যাচ্ছে। যে ব্যক্তি আগে এক কেজি সবজি কিনতেন, অতিরিক্ত দামের কারণে সে ব্যক্তি এখন আধা কেজি সবজি কেনেন। শীতের নতুন সবজি ওঠার আগ পর্যন্ত সবজি এমন বেশি দামেই বিক্রি হবে। এ দাম কমবে কেবল নতুন সবজি বাজারে আসার পর।
এএসএস/এসএসএইচ