ঢাকাকে অধিকতর নান্দনিক শহরের পাশাপাশি রাজধানীর যোগাযোগ ব্যবস্থা সহজ করার লক্ষ্যে একটি ফ্ল্যাগশিপ প্রজেক্ট গ্রহণে বিশ্বব্যাংকের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল।

শনিবার (৯ অক্টোবর) অর্থ মন্ত্রণালয় থেকে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়। বিশ্বব্যাংক আইএমএফের বার্ষিক সভা-২০২১ এর অংশ হিসেবে অর্থমন্ত্রীর নেতৃত্বে বাংলাদেশ প্রতিনিধি দল ও বিশ্বব্যাংকের দক্ষিণ এশিয়া অঞ্চলের ভাইস প্রেসিডেন্ট মি. হার্টউইগ শেফারের নেতৃত্বে একটি ভার্চুয়াল সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় বাংলাদেশ প্রতিনিধি দলের সদস্য হিসেবে অর্থ মন্ত্রণালয়ের অর্থ বিভাগের সিনিয়র সচিব আব্দুর রউফ তালুকদার, অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগের সচিব মিস ফাতিমা ইয়াসমিন প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

অর্থ মন্ত্রণালয় জানায়, ঢাকার চার পাশের নদীগুলো সংস্কারের মাধ্যমে বিশ্বের অন্যতম সুপ্রাচীন ঐতিহাসিক শহর ঢাকা মহানগরীকে আরও অধিকতর নান্দনিক শহরের পাশাপাশি যোগাযোগ ব্যবস্থা সহজীকরণের লক্ষ্যে বিশ্বব্যাংকের সহযোগিতায় একটি ফ্ল্যাগশিপ প্রজেক্ট গ্রহণের জন্য সংস্থাটির ভাইস প্রেসিডেন্টকে আহ্বান জানান অর্থমন্ত্রী। বিশ্বব্যাংক ভাইস প্রেসিডেন্ট এ বিষয়ে সার্বিক সহযোগিতার আশ্বাস দেন অর্থমন্ত্রীকে।

অর্থমন্ত্রী তার বক্তব্যে বিশ্বব্যাংক কর্তৃক বাংলাদেশের চলমান বিভিন্ন উন্নয়ন প্রকল্পে সহায়তার জন্য ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন। তিনি বাংলাদেশের সামগ্রিক উন্নয়নের ক্ষেত্রে সরকারি খাতে সহজ শর্তে আরও অধিকতর অর্থায়নের পাশাপাশি উন্নত প্রযুক্তি হস্তান্তর ও বেসরকারি খাতেও সহযোগিতা বৃদ্ধির জন্য বিশ্বব্যাংকের প্রতি অনুরোধ জানান। তিনি প্রকল্প বাস্তবায়নে বাংলাদেশের সক্ষমতা বৃদ্ধি ও ঋণ পরিশোধের ক্ষেত্রে বাংলাদেশের দক্ষতা ও সক্ষমতার কথা বিশ্বব্যাংকের প্রতিনিধিদলকে অবহিত করেন।

সভায় মি. হার্টউইগ শেফার বিশ্বব্যাংকের ইন্টারন্যাশনাল ডেভেলপমেন্ট অ্যাসোসিয়েশনের (আইডিএ) সম্পদের সর্ববৃহৎ ব্যবহারকারী দেশ হিসেবে বাংলাদেশের সাফল্যের ভূয়সী প্রশংসা করেন। তিনি আইডিএর অর্থায়নে উন্নয়ন প্রকল্প বাস্তবায়নের ক্ষেত্রে সমগ্র বিশ্বে বাংলাদেশকে রোল মডেল হিসেবে অবহিত করেন। বাংলাদেশের এ দক্ষতা ও সাফল্যকে বিশ্বব্যাংক-আইএমএফের বার্ষিক সম্মেলনে তুলে ধরার মাধ্যমে আইডিএ খাতে উন্নত ও ধনী দাতাদেশগুলোর অধিকতর অংশগ্রহণের ক্ষেত্রে সহায়ক ভূমিকা পালনে নেতৃত্ব প্রদানের আহ্বান জানান তিনি।

এ সময় মি. হার্টউইগ শেফার দারিদ্র্য দূরীকরণ, দুর্যোগ মোকাবিলাসহ জলবায়ু পরিবর্তনজনিত পরিস্থিতিতে বাংলাদেশের গৃহীত টেকসই পরিকল্পনার অর্জিত সাফল্যর প্রশংসা করেন। সকল ক্ষেত্রে বাংলাদেশ বিশ্বে নেতৃত্ব প্রদান করতে পারে মর্মে অভিমত ব্যক্ত করেন তিনি।

এসআর/এসকেডি