সবজিতে বাজার সেজেছে

শীতকালীন সবজিতে সেজেছে রাজধানীর কাঁচাবাজারগুলো। শুক্রবার (২৩ জানুয়ারি) সারাদিন বেশ কয়েকটি কাঁচাবাজার ঘুরে গেছে, চাহিদার তুলনায় বাজারে পর্যাপ্ত সবজি রয়েছে। গত সপ্তাহের তুলনায় দামও অনেকটা কম। এতে খুশি ক্রেতারা।

ব্যবসায়ীরা জানান, গত সপ্তাহে টমেটো প্রতি কেজি ৪০-৪৫ টাকা থাকলেও তা শুক্রবার বিক্রি হয়েছে ২৫-৩০ টাকায়। আর শিমের কেজি ছিল ৪০-৪৫ টাকা, বর্তমানে ২৫-৩০ টাকার মধ্যেই মিলছে। ফুলকপি প্রতি পিস ৩০ টাকা থাকলেও, এদিন পাওয়া গেছে ২০-২৫ টাকায়।

ছুটির দিনে বাজারে আলুর দাম অপরিবর্তিত ছিল। প্রতি কেজি নতুন আলুর দাম ছিল ২০ টাকা। পেয়াজের দাম কমলেও বেড়েছে রসুনের দাম। প্রতি কেজি পেয়াজ পাওয়া গেছে ৩০-৩৫ টাকায়।

মোহাম্মদপুর এলাকার সবজি ব্যবসায়ী আবদুর রহমান। তিনি ঢাকা পোস্টকে বলেন, গত সপ্তাহে রসুনের কেজি ১০০ টাকা ছিল। সপ্তাহের বাজারে খুচরাপর্যায়ে ১১০টাকা বিক্রি হয়েছে।

রসুনের দাম বাড়ার কারণ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, পাইকারিভাবে দাম বাড়ানো হয়েছে। সেজন্য আমরা খুচরা পর্যায়ে বেশি দামে বিক্রি করেছি।

ব্যবসায়ীরা জানান, সরবরাহ বাড়ায় সবজির দাম কমেছে। পুরো শীতকাল জুড়েই সবজির দাম কম থাকবে বলেও জানান তারা। দাম কমায় খুশি ক্রেতারাও।

আহমেদ মোরশেদ নামের একজন ক্রেতা শুক্রবার ঢাকা পোস্টকে বলেন, গত সপ্তাহের তুলনায় বাজারে এ সপ্তাহে সবজির দাম কমেছে। দাম সাধ্যের মধ্যে থাকলে আমরাও খুশি হই।

এদিকে, মাছের বাজার ঘুরেও প্রায় একই চিত্র দেখা গেছে। বাজারে বেড়েছে দেশি মাছের সরবরাহ। এরই ধারাবাহিকতায় বাজারে সব মাছের দামও কমতির দিকে।

প্রতি কেজি রুই বিক্রি হচ্ছে ২৩০ টাকা দামে। মৃগেল বিক্রি হচ্ছে ১৯০ টাকা কেজি, বড় জাতের কার্প মাছ বিক্রি হচ্ছে ১৭০ টাকা কেজিতে। এর বাইরেও এক কেজি দেশি শিং মাছ পাওয়া যাচ্ছে ৬০০ টাকায়। এছাড়া দেশি কই ৪৫০ টাকা ও টেংরা ৪০০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।

সবজি ও মাছের বাজার ক্রেতাদের খুশি রাখতে পারলেও, কিছুটা চওড়া মাংসের বাজার। বেড়েছে বয়লার, কক ও দেশি মুরগি ও গরুর মাংসের দাম।

গত সপ্তাহের তুলনায় ১০ টাকা বেড়ে বাজারে প্রতি কেজি বয়লার বিক্রি হচ্ছে ১৪০ টাকায়। ১৭০ টাকার কক বিক্রি হচ্ছে প্রতি কেজি ১৯০ টাকায়। গত সপ্তাহে ২২০ টাকা কেজির দেশি মুরগি এখন ২৩০ টাকা বিক্রি হচ্ছে। আর গরুর মাংসে বেড়েছে প্রতি কেজিতে ২০ টাকা। গত সপ্তাহ গরুর মাংসের প্রতি কেজি ৫৬০ টাকা বিক্রি হলেও ছুটির দিনে ক্রেতাদের গুণতে হয়েছে ৫৮০ টাকা।

এসএইচআর/এমএইচএস