বিশ্বব্যাংকের পূর্বাভাস
বাংলাদেশের জিডিপি প্রবৃদ্ধি হবে ৬.৪ শতাংশ
চলতি ২০২১-২২ অর্থবছর শেষে বাংলাদেশের মোট দেশজ উৎপাদনে (জিডিপি) প্রবৃদ্ধি হবে ৬.৪ শতাংশ। বাংলাদেশের রপ্তানি বৃদ্ধির পাশাপাশি অর্থনীতি ঘুরে দাঁড়ানোয় প্রবৃদ্ধি বাড়বে বলে জানিয়েছে বিশ্বব্যাংক।
এর আগে, বাংলাদেশের প্রবৃদ্ধির পূর্বাভাসে বিশ্বব্যাংক জানিয়েছিল চলতি অর্থবছর শেষে বাংলাদেশের জিডিপি প্রবৃদ্ধি ৫.১ শতাংশ হবে। আজ বৃহস্পতিবার ‘শিফটিং গিয়ারস: ডিজিটাইজেশন অ্যান্ড সার্ভিস লেড ডেভেলপমেন্ট প্রোজেক্ট’ শিরোনামের দক্ষিণ এশিয়ার সর্বশেষ অর্থনৈতিক পূর্বাভাসে বিশ্বব্যাংক এসব বলেছে।
বিজ্ঞাপন
বিশ্বব্যাংক বলছে, রফতানি খাতের পুনরুদ্ধার আর ভোগব্যয় বৃদ্ধির কারণে তাদের আগের হিসাবের চেয়ে প্রবৃদ্ধি বেশি হবে। বৈশ্বিক চাহিদা ঘুরে দাঁড়ানো আর কোভিড-১৯ এর সাম্প্রতিক ঢেউ মোকাবিলায় দেশগুলোর নিয়ন্ত্রণমূলক উদ্যোগ অর্থনীতিতে কম প্রভাব ফেলতে সহায়তা করেছে।
প্রতিবেদনে বিশ্বব্যাংক জানায়, বিশ্বব্যাংক ১৯৭২ সাল থেকে বাংলাদেশকে ৩০ বিলিয়ন ডলারেরও বেশি সহায়তা দিয়েছে। বাংলাদেশ এখন নিম্ন মধ্যম আয়ের দেশ। স্বল্পোন্নত দেশ (এলডিসি) থেকে উন্নয়নশীল দেশে উত্তোরণ ঘটেছে বাংলাদেশের। ২০২৬ সাল থেকে সেই পথচলা শুরু করবে বাংলাদেশ।
বিশ্বব্যাংকের নতুন প্রাক্কলন অনুযায়ী গত জুনের প্রাক্কলনের তুলনায় ভুটান ও মালদ্বীপের প্রবৃদ্ধি কমানো হয়েছে। ভারতের ৭ দশমিক ৫, পাকিস্তানের ৩ দশমিক ৪, নেপালের ৩ দশমিক ৯, ভুটানের ৩ দশমিক ২, শ্রীলংকার ২ দশমিক ১ এবং মালদ্বীপের ১১ শতাংশ প্রবৃদ্ধি প্রাক্কলন করা হয়েছে।
উল্লেখ্য, চলতি অর্থবছরে বাংলাদেশের প্রবৃদ্ধি নিয়ে বিশ্বব্যাংকের হিসাব সরকার ও এশীয় উন্নয়ন ব্যাংকের (এডিবি) চেয়ে কম। গত জুনে বাজেট প্রাক্কলনে সরকারের অনুমানে প্রবৃদ্ধি ৭ দশমিক ২ শতাংশ এবং গত সেপ্টেম্বরে এডিবি বলেছে ৬ দশমিক ৮ শতাংশ হবে। বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর সাময়িক হিসাব হচ্ছে গত অর্থবছরে বাংলাদেশের জিডিপি প্রবৃদ্ধি হয়েছে ৫ দশমিক ৪৭ শতাংশ। তবে বিশ্বব্যাংকের হিসাবে তা ৫ শতাংশ।
এসআর/এনএফ