ইএফডি ও এসডিসি মেশিন কিনতে হবে ব্যবসায়ীদের
ইলেকট্রনিক ফিসক্যাল ডিভাইস (ইএফডি) ও সেলস ডাটা কনট্রোলার (এসডিসি) মেশিন বিক্রির সিদ্ধান্ত নিয়েছে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড।
এখন থেকে বিনামূল্যে ওই মেশিন আর বিতরণ করবে না প্রতিষ্ঠানটি। এনবিআরের নতুন নির্দেশনা অনুসারে ব্যবসায়ীদের সরাসরি কিংবা কিস্তিতে এসব মেশিন ক্রয় করে তা ব্যবহার করতে হবে। এক্ষেত্রে ইএফডির বিক্রয় মূল্য ধরা হয়েছে ২০ হাজার ৫৩৩ টাকা ও এসডিসির বিক্রয় মূল্য ২৪ হাজার ৫৯৬ টাকা।
বিজ্ঞাপন
মেশিন দুটি এককালীন কিংবা কিস্তিতে কিনতে পারবেন ব্যবসায়ীরা। তিন কিস্তিতে ক্রয় করার সুবিধা থাকলেও বাড়তি দাম গুণতে হবে না তাদের। আর মেশিনে ত্রুটি দেখা দিলে সংশ্লিষ্ট এলাকার দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা বিষয়টি দেখভাল করবেন।
বৃহস্পতিবার (৭ অক্টোবর) এনবিআরের নতুন নির্দেশনার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন প্রতিষ্ঠানটির জনসংযোগ কর্মকর্তা সৈয়দ এ মু’মেন।
ভ্যাট আদায়ে স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা নিশ্চিত করতে ২০১৯ সালের ২৫ আগস্ট ইএফডির উদ্বোধন করেন এনবিআর চেয়ারম্যান আবু হেনা মো. রহমাতুল মুনিম। এখন পর্যন্ত ৩ হাজার ৩৯৩টি ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে ইএফডি বসিয়েছে এনবিআর।
ইএফডি বা এসডিসি হলো আধুনিক হিসাবযন্ত্র। এটি ইলেকট্রনিক ক্যাশ রেজিস্টারের (ইসিআর) উন্নত সংস্করণ। এ যন্ত্রের মাধ্যমে প্রতিষ্ঠানের প্রকৃত লেনদেন বা বিক্রির তথ্য জানতে পারছে এনবিআর। এর মধ্যে কত অংশ ভ্যাট তা জানা যাবে। ফলে ভ্যাট ফাঁকি বন্ধ হবে এবং আদায় বাড়বে। ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের দৈনিক লেনদেনের তথ্য তদারকিতে এনবিআরের সার্ভারের সঙ্গে সফটওয়্যারের মাধ্যমে সংযুক্ত থাকবে ইএফডি মেশিন। এজন্য ইতোমধ্যে সার্ভার স্থাপন করা হয়েছে। ভ্যাট আইন অনুযায়ী ইএফডি মেশিন ব্যবহারের বাধ্যবাধকতা রয়েছে।
ইএফডি চালান গ্রহণে ক্রেতাদের উৎসাহিত করতে প্রতি মাসে লটারির মাধ্যমে পুরস্কার দিয়ে আসছে এনবিআর। গত ৫ ফেব্রুয়ারি প্রথমবারের মতো ইএফডি চালানের লটারির ড্র অনুষ্ঠিত হয়। এখন পর্যন্ত নবমবারের মতো লটারির ড্র অনুষ্ঠিত হয়েছে।
লটারিতে প্রথম পুরস্কার ১ লাখ টাকা, দ্বিতীয় পুরস্কার ৫০ হাজার টাকা ও তৃতীয় পুরস্কার ২৫ হাজার টাকা (পাঁচটি)। এছাড়া লটারিতে ৯৪ জন ভ্যাট দাতা পাচ্ছেন ১০ হাজার টাকা করে পুরস্কার।
আরএম/জেডএস