ডব্লিউআরএপির সহযোগিতা চেয়েছে বিজিএমইএ
বাংলাদেশের পোশাক শিল্পের ইতিবাচক চিত্র আন্তর্জাতিকভাবে তুলে ধরতে ওয়ার্ল্ডওয়াইড রেসপনসিবল অ্যাক্রিডেটেড প্রোডাকশনের (ডব্লিউআরএপি) সভাপতি ও প্রধান নির্বাহী আবেদিস সেফেরিয়ানের সহযোগিতা ও সমর্থন চেয়েছেন বাংলাদেশ পোশাক রফতানিকারক ও মালিক সমিতির (বিজিএমইএ) সভাপতি ফারুক হাসান।
বুধবার মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ওয়াশিংটন ডিসিতে ডব্লিউআরএপি সভাপতি ও প্রধান নির্বাহী আবেদিস সেফেরিয়ানের সঙ্গে সাক্ষাৎকালে এ সহযোগিতা ও সমর্থন চান বিজিএমইএ সভাপতি।
বিজ্ঞাপন
এসময় বিজিএমইএর সহ-সভাপতি মিরান আলী, ডব্লিউআরএপির কমপ্লায়েন্স অ্যাসুরেন্সের জ্যেষ্ঠ পরিচালক হং মেই ও কমপ্লায়েন্স প্রশাসনের পরিচালক সৃষ্টি শর্মা উপস্থিত ছিলেন। ওই সাক্ষাতে ভার্চ্যুয়ালি যুক্ত হন স্টেকহোল্ডার এনগেজমেন্ট ভাইস প্রেসিডেন্ট মার্ক জেগার এবং আইমি ডোব্রজেনিয়েকি।
সাক্ষাতে বিজিএমইএ সভাপতি পশ্চিমা বিশ্বে বিশেষ করে উত্তর আমেরিকায় বাংলাদেশের ব্যবসা সম্প্রসারণের বিষয়গুলো নিয়ে আলোচনা করেন। বাংলাদেশের পোশাক শিল্পের স্বার্থে বিজিএমইএ ও ডব্লিউআরএপি কিভাবে পারস্পরিক সহযোগিতা প্রদান করতে পারে ও ভবিষ্যতে প্রতিষ্ঠান দুটি কোন কোন ক্ষেত্রে যুক্ত হতে পারে, সেগুলো নিয়েও এ সময় আলোচনা হয়।
বাংলাদেশের পোশাক শিল্পের জন্য সার্টিফিকেশনকে আরও সহজতর করতে এবং বিশ্বে পোশাক সোর্সিংয়ের নিরপদ ও অনুকূল উৎস হিসেবে বাংলাদেশের সুনাম বৃদ্ধির জন্য কিভাবে আরও সহযোগিতামূলক ও সমন্বিত প্রচেষ্টা গ্রহণ করা যেতে পারে, সে বিষয়েও তারা আলোচনা করেন।
বৈঠকে বিজিএমইএ সভাপতি ফারুক হাসান কর্মক্ষেত্রের নিরাপত্তা, সামাজিক ও পরিবেশগত টেকসই উন্নয়নের ক্ষেত্রে বাংলাদেশের পোশাক শিল্পের অগ্রগতি তুলে ধরে বলেন, বাংলাদেশের পোশাক শিল্প নিরাপত্তা, টেকসই উন্নয়ন ও শ্রমিকদের কল্যাণে পদক্ষেপ গ্রহণের জন্য বৈশ্বিক স্বীকৃতি অর্জন করেছে। হংকংভিত্তিক সাপ্লাই চেইন কমপ্লায়েন্স সল্যুশনস প্রোভাইডার কিউআইএমএ সাম্প্রতিক প্রতিবেদনে বাংলাদেশকে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ইথিক্যাল ম্যানুফ্যাকচারিং দেশ হিসেবে স্থান দিয়েছে।
এ প্রতিবেদনে স্বাস্থ্যবিধি, স্বাস্থ্য ও নিরাপত্তা, বর্জ্য ব্যবস্থাপনা, শ্রমিক প্রতিনিধিত্ব, শৃঙ্খলাজনিত অনুশীলন এবং বৈষম্য, কাজের সময় এবং মজুরিসহ কমপ্লায়েন্সের বিষয়গুলোও অন্তর্ভুক্ত ছিল। নিরাপদ কর্মপরিবেশ নিশ্চিত করার পাশাপাশি বাংলাদেশের জন্য আরও গর্বের বিষয় হলো, সর্বোচ্চ সংখ্যক গ্রিন পোশাক কারখানার অবস্থান এদেশেই। বাংলাদেশের ১৪৫টি পোশাক কারখানা লিড (লিডারশিপ ইন এনার্জি অ্যান্ড এনভাইরনমেন্টাল ডিজাইন) সনদপ্রাপ্ত। এগুলোর মধ্যে ৪২টি লিড প্লাটিনাম-রেটেড, ৯১টি লিড গোল্ড-রেটেড। ৫০০টিরও অধিক কারখানার সনদ পাওয়ার বিষয় প্রক্রিয়াধীন।
এমএইচএন/আরএইচ