জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের আওতাধীন কাস্টমস, এক্সাইজ ও ভ্যাট আপিলাত ট্রাইব্যুনালে মামলার জটে আটকে আছে তিন হাজার কোটি টাকার বেশি রাজস্ব।

চলতি বছরের জুলাই মাস পর্যন্ত নিষ্পত্তির অপেক্ষায় আছে ৬ হাজার ৬২৬টি মামলা। যদিও জুলাইয়ের শুরুতে অনিষ্পত্তিকৃত মামলার সংখ্যা ছিল ৬৭৩৪টি। এর মধ্যে শুধু জুলাই মাসেই ১৩২টি মামলা নিষ্পত্তি হয়েছে। যদিও এ সময়ে আরও ২৪টি মামলা দায়ের হয়।

এনবিআরের ঊর্ধ্বতন সূত্রে এসব তথ্য জানা গেছে। সূত্রটি জানায়, সম্প্রতি মাসিক সমন্বয় সভায় মামলাগুলো দ্রুত নিষ্পত্তির নির্দেশনা দেন এনবিআর চেয়ারম্যান আবু হেনা মো. রহমাতুল মুনিম। তিনি মামলা নিষ্পত্তির হার বৃদ্ধি অব্যাহত রাখতে কাস্টম এক্সাইজ ও ভ্যাট আপিলেট ট্রাইব্যুনালকে ব্যবস্থা নিতে বলেন।

এনবিআর সূত্র জানায়, বাণিজ্যিক পর্যায়ে, সরকারি-বেসরকারি আমদানি কিংবা উৎপাদনকারী ও সেবামূলক অনেক প্রতিষ্ঠানের ভ্যাট এবং শুল্ক করাদি অপরিশোধিত থাকার ঘটনা নিয়ে ৩০ বছরের পুরনো মামলাও তালিকায় রয়েছে। প্রতিনিয়ত বৃদ্ধি পাচ্ছে মামলার সংখ্যা। ২০১২ সাল থেকে পুরনো এবং নতুন মামলা নিষ্পত্তির ক্ষেত্রে সময়সীমা বেঁধে দেওয়া হলেও তাতে তেমন গতি আসেনি।

তবে সাম্প্রতিক সময়ে আপিলাত ট্রাইব্যুনালের ৪টি বেঞ্চ গঠন করে মামলা নিষ্পত্তির ক্ষেত্রে গ্রহণকৃত উদ্যোগে কিছুটা গতি পেয়েছে। এনবিআরের সদস্য পদমর্যাদার একজন কর্মকর্তা আপিলাত ট্রাইব্যুনালের প্রেসিডেন্ট হিসাবে দায়িত্ব পালন করেন। তার সঙ্গে রয়েছেন চারজন কাস্টম কমিশনার ও চারজন জেলা জজ। ড. মো. সহিদুল ইসলাম বর্তমানে আপিলাত ট্রাইব্যুনালের প্রেসিডেন্ট পদে রয়েছেন।

এ বিষয়ে ড. সহিদুল ইসলাম ঢাকা পোস্টকে বলেন, ট্রাইব্যুনালে বছরের পর বছর অনিষ্পত্তিকৃত মামলা নিষ্পত্তির ক্ষেত্রে অধিক গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে। এজলাস ও জনবল সংকটের কারণে ওই কার্যক্রম আরও প্রসারের ক্ষেত্রে কিছুটা প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করছে। আমাদের তৎপরতা অব্যাহত রয়েছে।

উল্লেখ্য, ২০১২ সালের আগ পর্যন্ত কাস্টম এক্সাইজ ও ভ্যাট আপিলেট ট্রাইব্যুনালে মামলা নিষ্পত্তির কোনো সময়সীমা নির্দিষ্ট করে দেওয়া ছিল না। ফলে প্রতিনিয়ত মামলার সংখ্যা বৃদ্ধি পায়। ২০১২ সালে কাস্টমসের মামলার ক্ষেত্রে ৪ বছর এবং ভ্যাটের মামলার ক্ষেত্রে ২ বছরের মধ্যে নিষ্পত্তি করার সময়সীমা বেঁধে দেওয়া হয়। এতে গতি আসে মামলা নিষ্পত্তির হারে।

আরএম/এসকেডি