মেয়াদোত্তীর্ণ খাদ্য উপকরণ (ফুড এডিটিভ) দি‌য়ে তৈ‌রি কর‌া হচ্ছিল খাবার। খাদ্য সংর‌ক্ষণে ছিল অনিয়ম। ফ্রিজে একসঙ্গে রাখা ছিল কাঁচা ও রান্না করা খাবার। রেস্টুরেন্টের কর্মচারীদের স্বাস্থ্য সনদও নেই। এছাড়া হালনাগাদ লাইসেন্স ছাড়াই চলছে ব্যবসা। এসব অনিয়মেই চলছে মাওয়ার পদ্মা পা‌ড়ের আলোচিত ‘প্রজেক্ট হিলশা’ রেস্তোরাঁ।

সোমবার (৩০ আগস্ট) বাংলাদেশ নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষের (বিএফএসএ) সদস্য শাহনওয়াজ দিলরুবা খানের (যুগ্ম সচিব) নেতৃত্বে মুন্সীগঞ্জের শিমুলিয়া ফেরিঘাট সংলগ্ন প্রজেক্ট হিলশায় পরিদর্শনে গিয়ে এসব অনিয়ম দেখতে পায় বিএফএসএর ম‌নিট‌রিং টিম।

বিএফএসএ জানায়, পরিদর্শনকালে প্রজেক্ট হিলশার বেকারি শাখায় ফুড এডিটিভ পাওয়া যায়। এ সময় চিলারের অপরিষ্কার মেঝেতে অনিয়ন্ত্রিত তাপমাত্রায় ও উন্মুক্ত অবস্থায় হিমায়িত খাবার সংরক্ষণ, ফ্রিজে একইসঙ্গে কাঁচা ও রান্না করা খাবার সংরক্ষণসহ নানা অনিয়ম দেখতে পায় পরিদর্শন ম‌নিট‌রিং টিম। এছাড়া প্রজেক্টের হালনাগাদ ট্রেড লাইসেন্স ও খাদ্য কর্মীদের স্বাস্থ্যসনদ দেখাতে পারেনি প্রতিষ্ঠানটি।

পরিদর্শনকালে মনিটরিং টিম প্রজেক্ট হিলসায় পাওয়া মেয়াদোত্তীর্ণ ফুড এডিটিভ জব্দ করে এবং সংশোধনের জন্য প্রয়োজনীয় দিকনির্দেশনা দেয়। প্রজেক্ট হিলশা কর্তৃপক্ষ আগামী এক মাসের মধ্যে সব বিষয় সংশোধন করার প্রতিশ্রুতি দেয়।

অভিযানকালে মনিটরিং অফিসার এম ইমরান হোসেন মোল্লা, মো. আসলাম উদ্দীন, বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা শওকত হোসেন, সহকারী পরিচালক আসমা উল হোসনাসহ কর্তৃপক্ষের অন্য কর্মকর্তা-কর্মচারীরা উপস্থিত ছিলেন।

এসআই/এসএসএইচ