কমেছে সয়াবিন, আদা, রসুনের দাম
করোনাভাইরাসের সংক্রামণ ঠেকাতে চলছে কঠোর বিধিনিষেধ। সরকার ঘোষিত কঠোর বিধিনিষেধের শুরুর দিকে নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যের দাম ঊর্ধ্বমুখী থাকলেও ঈদের পর থেকে তা কমতে শুরু করেছে।
মঙ্গলবার (৩ আগস্ট) রাজধানীর রামপুরা, মধু্বাগ, মালিবাগ বাজার ঘুরে দেখা গেছে, বাজারে সয়াবিন তেলের দাম কেজি প্রতি কমেছে ৫ থেকে ৭ টাকা। আজ বোতলজাত যেকোনো ব্রান্ডের সয়াবিন তেল লিটার প্রতি বিক্রি হচ্ছে ১৪৬-১৪৮ টাকায়।
বিজ্ঞাপন
এছাড়াও ১০ থেকে ২০ টাকা কমেছে রসুন ও আদার দাম। বাজারে প্রতি কেজি রসুন বিক্রি হচ্ছে ১১০ টাকা দরে। আর আদার কেজি ১০৫-১২০ টাকা। তবে পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে আগের ৪৫- ৫০ টাকা কেজি দরেই। বাজার ঘুরে দেখা গেছে, নিত্য প্রয়োজনীয় পণ্যের দাম তেমন বৃদ্ধি পায়নি।
রামপুরা বাজারে কথা হয় মুদি বিক্রেতা মাহিমের সঙ্গে। তিনি বলেন, কোরবানির ঈদের পর বাজারে তেমন ক্রেতার চাপ নেই। পণ্যের দাম বাড়েনি, বরং কমেছে। যেমন- আদা, রসুন ও তেলের দাম কমেছে। অন্যান্য পণ্য আগের দামেই বিক্রি হচ্ছে।
মাংসের বাজার ঘুরে দেখা গেছে, প্রতি কেজি গরুর মাংস ৫৮০ থেকে ৫৯০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। এছাড়াও ২০ টাকা কমে প্রতি কেজি সোনালী মুরগি বিক্রি হচ্ছে ২৩০ টাকায়। ১২০ থেকে ১৩০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে প্রতি কেজি ব্রয়লার।
এদিকে, মুরগীর ডিম ডজন প্রতি বিক্রি হচ্ছে ১০০ টাকায়। মালিবাগের মুরগি বিক্রেতা আলম বলেন, ঈদের পর থেকই দাম কমতে শুরু করেছে। ক্রেতাও আগের চেয়ে কম। ক্রেতার চাপ না থাকায় দাম কমেছে।
করোনা পরিস্থিতি ক্রমাগত খারাপ হওয়ায় সরকার ৫ আগস্ট পর্যন্ত কঠোর বিধিনিষেধ ঘোষণা করেছে। তবে ১ আগস্ট থেকে গার্মেন্টসসহ কারখানাগুলো খুলে দেওয়া হয়েছে। বিধিনিষেধে খাবার ও ওষুধের দোকান ছাড়া বন্ধ রয়েছে অন্যান্য সব প্রতিষ্ঠান।
আরএম/এমএইচএস