আগামী সপ্তাহ থেকে ইভ্যালির কার্যক্রম স্বাভাবিক হবে : রাসেল
আগামী সপ্তাহ থেকে আবারও ইভ্যালির কার্যক্রম শুরুর কথা জানিয়েছেন প্রতিষ্ঠানটির সিইও মোহাম্মদ রাসেল। ইভ্যালি সংশ্লিষ্ট একটি ফেসবুক গ্রুপে দেওয়া এক স্ট্যাটাসে তিনি এ কথা জানান।
বৃহস্পতিবার (২৯ জুলাই) ইভ্যালি অফার, হেল্প অ্যান্ড রিভিউ নামক ফেসবুক গ্রুপে দেওয়া এক স্ট্যাটাসে মোহাম্মদ রাসেল লিখেন, ‘আমাদের কিছু ব্যাংক অ্যাকাউন্ট এখন অপারেশনাল। ইনশাল্লাহ আগামী সপ্তাহ থেকে আমরা লেনদেন শুরু করব।
বিজ্ঞাপন
যাদের রিফান্ড পেন্ডিং, দয়া করে আমাদের কনফারমেশন কল এর জন্য একটু অপেক্ষা করবেন। আপনাদের সাপোর্ট এ ইভ্যালির আজ শক্ত অবস্থান হয়েছে।
আর কিছুটা সময় চেয়ে নিচ্ছি। একটি অর্ডার ও রিফান্ড পেন্ডিং থাকবে না। আগামী সপ্তাহ থেকে ইনশাল্লাহ সব স্বাভাবিক (অস্বাভাবিক ভালো) ভাবে রান করবে। পাশে থাকুন।’
এর আগে গত ১৭ জুলাই থেকে বেশকিছু গণমাধ্যমে খবর প্রকাশিত হয় ই-কমার্স প্রতিষ্ঠান ইভ্যালির সঙ্গে সম্পর্ক ছিন্ন করছে পণ্য সরবরাহকারী বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান (মার্চেন্ট)। ফলে এই প্রতিষ্ঠান থেকে দেওয়া ভাউচারে তারা গ্রাহককে আর পণ্য সরবরাহ করা হচ্ছে না। কারণ, তারা ইভ্যালির কাছ থেকে পণ্যের দাম পাচ্ছে না। তাই পণ্য ও অর্থ ফেরত না পাওয়া গ্রাহকেরাও রাজধানীর ধানমন্ডিতে ইভ্যালির কার্যালয়ে ভিড় শুরু করেছেন। তবে ইভ্যালির কার্যালয়টি বন্ধ রয়েছে। হটলাইন নম্বরেও ফোন করে কাউকে পাওয়া যাচ্ছে না তাদেরকে।
এর আগে মঙ্গলবার (২৭ জুলাই) ইভ্যালিতে এক হাজার কোটি টাকা বিনিয়োগ করতে যাচ্ছে শিল্পগ্রুপ যমুনা। প্রাথমিকভাবে ২০০ কোটি টাকা বিনিয়োগ করবে তারা। ধারাবাহিকভাবে বিভিন্ন পর্যায়ে মোট এক হাজার কোটি টাকা বিনিয়োগ করবে গ্রুপটি।
উল্লেখ্য, গত ১৬ জুন বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের অনুরোধে ইভ্যালি নিয়ে একটি তদন্ত প্রতিবেদন প্রকাশ করে বাংলাদেশ ব্যাংক। সেখানে বলা হয়, গত ১৪ মার্চ পর্যন্ত ইভ্যালির গ্রাহকের কাছে ২১৩ কোটি ৯৪ লাখ ৬ হাজার ৫৬০ টাকা এবং মার্চেন্টদের কাছে ১৮৯ কোটি ৮৫ লাখ ৯৫ হাজার ৩৫৪ টাকা দেনা রয়েছে। এসবের বিপরীতে ইভ্যালির মোট সম্পদের পরিমাণ ৯১ কোটি ৬৯ লাখ ৪২ হাজার ৮৪৬ টাকা। এরমধ্যে চলতি মূলধন রয়েছে মাত্র ৬৫ কোটি ১৭ লাখ ৮৩৭৩৬ টাকা।
এটি প্রকাশের পরপরই বিপাকে পড়ে ইভ্যালি। বেশ কয়েকটি ব্যাংক তাদের ক্রেডিট কার্ডে ই-ভ্যালিতে কেনাকাটা স্থগিত করে। সার্বিক পরিস্থিতিতে পুরোনো অর্ডারগুলো ইভ্যালি ডেলিভারি দিতে পারবে কি না তা নিয়ে প্রশ্ন দেখা দেয়। গুঞ্জন রটে ইভ্যালি বিদেশে টাকা পাচার করেছে এবং তারা ব্যবসা গুটিয়ে ফেলবে। বিভিন্ন পক্ষ থেকে ইভ্যালি বন্ধ করে দেওয়ারও দাবি ওঠে।
এ অবস্থায় ২৪ জুলাই রাত ১১টায় ফেসবুক লাইভে এসে ইভ্যালির সিইও মোহাম্মদ রাসেল বলেন, ‘ইভ্যালি বন্ধ করে কোনো সমাধান হবে না। কোনো প্রতিষ্ঠানই বন্ধ করে ইনভেস্টমেন্ট ফেরত আনা সম্ভব নয়। তাই আমাদের ব্যবসা করার সুযোগ দিন, আমরা কাউকে ক্ষতিগ্রস্ত হতে দেব না। সুযোগ দিলে আগামী ছয় মাসের মধ্যে পুরনো সব অর্ডার ডেলিভারি দেব।’
এএইচআর/ওএফ