ই-কমার্স প্রতিষ্ঠান ইভ্যালির বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগ নিয়ে প্রতিষ্ঠানটির কর্মকর্তাদের ডাকা হবে বলে জানিয়েছেন বাণিজ্য সচিব তপন কান্তি ঘোষ। 

রোববার (১৮ জুলাই) সচিবালয়ে ই-কমার্স সংক্রান্ত বিষয় নিয়ে স্টেকহোল্ডারদের সঙ্গে বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন।

সচিব বলেন, ইভ্যালিকে ডাকা হবে, কারণ দর্শানো হবে। তাদেরকে বিজনেস প্ল্যান দিতে বলা হবে।

তিনি বলেন, ই-কমার্সের উদ্ভূত পরিস্থিতি নিয়ে আজকে একটি সভা করেছি। বিশেষ করে বাংলাদেশ ব্যাংক, আইসিটি বিভাগ, প্রতিযোগিতা কমিশন, ভোক্তা অধিকার, ই-ক্যাবসহ সবাই মিলে ফলপ্রসূ আলোচনা হয়েছে। আলোচনা করে কয়েকটি বিষয়ে মোটামুটি একমত হয়েছি। ৪ জুলাই যে ই-কমার্স নির্দেশিকা প্রকাশ করেছি, তার আলোকে সব বিচার বিবেচনা করে দেখব, কোন-কোন কোম্পানি এখানে যে নির্দেশনা আছে, তা প্রতিপালন করতে ব্যর্থ হচ্ছে। 

যিনি ব্যর্থ হবেন তাকে প্রথমত কারণ দর্শানো হবে, কয়েকদিন সময় দিয়ে যে বিজনেস প্ল্যানটা (ব্যবসায়িক পরিকল্পনা) আমাদের দেবেন, সেই প্ল্যানে (পরিকল্পনা) তিনি কীভাবে সাসটেইনেবল (স্থায়ী) হবেন? সেটা যদি বাংলাদেশের প্রচলিত আইনের সঙ্গে কমপ্লাইন (সামঞ্জস্য) না হয়, তখন হয়ত আমরা কোম্পানির বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে যাব। ব্যবস্থার ক্ষেত্রে বাংলাদেশের প্রচলিত আইনে হতে পারে, বলেন বাণিজ্য সচিব তপন কান্তি ঘোষ।

তিনি বলেন, ই-কমার্সের জন্য যদি কোনো ব্যক্তি বা ব্যবসায়ী ক্ষতিগ্রস্ত হন, তিনি কিন্তু আইন অনুযায়ী মামলা করতে পারেন, প্রতিকার চাইতে পারেন। সেটিও খোলা থাকছে।

সচিব বলেন, আমাদের নির্দেশিকা বা ডিজিটাল কমার্স নীতিমালাতে আরো একটু পরিবর্তন আনতে হবে। যেমন গ্রাহকের টাকা দিয়ে আবার গ্রাহককে মিটিয়ে দেওয়া বা গ্রাহকের টাকা অগ্রিম নিয়ে সে টাকা ব্যবসায় খাটিয়ে ব্যবসার উন্নয়ন করা, এটা যাতে না করতে পারে, এ ধরনের পরামর্শ আমরা পেয়েছি। এর আলোকে আমরা ব্যবস্থা নিচ্ছি। দীর্ঘমেয়াদে আমাদের আইনের কোথাও-কোথাও সংস্কারের চেষ্টা করা হবে। ডিজিটাল কমার্সের জন্য একটি স্বয়ংসম্পূর্ণ আইন প্রণয়নেরও একটি সুপারিশ আমাদের কাছে এসেছে।

এসএইচআর/জেডএস