‘দোকান-পাট খোলা রাখলেই কী, আর না রাখলেই কী’
করোনা ভাইরাসের বিস্তার রোধের জন্য সরকার যে বিধিনিষেধ জারি করেছিল, ১৫ জুলাই থেকে ২২ জুলাই পর্যন্ত এক সপ্তাহের জন্য তা শিথিল করা হবে বলে জানানো হয়েছে।
ফলে ১৫ জুলাই থেকে সীমিত পরিসরে দোকানপাট ও শপিং মল খুলে দেওয়া হবে বলে জানা গেছে।
বিজ্ঞাপন
তবে ঈদের একেবারে শেষ মুহূর্তে এসে দোকানপাট খোলার বিষয়টাকে খুব একটা ইতিবাচকভাবে দেখছেন না দোকান মালিক সমিতির সভাপতি হেলাল উদ্দিন।
হেলাল উদ্দিন ঢাকা পোস্টকে বলেন, সরকার লকডাউনের মধ্যেই বৃহস্পতিবার থেকে দোকান শপিংমল খোলা রাখার সিদ্ধান্ত নিচ্ছে বলে শুনছি। এখন দোকান-পাট খোলা রাখলেই কী, আর না রাখলেই কী? আমাদের কোনো লাভ হবে না।
তিনি বলেন, ১৫ জুলাই থেকে দোকান খোলা রাখা হলে সর্বোচ্চ দু’দিন কিছু পণ্য বিক্রি হবে। এই দু’দিন দোকান খোলা থাকলেও যে টাকার কেনা-বেচা হবে, তা দিয়ে শ্রমিকদের বেতন-বোনাসও দেওয়া যাবে কি? বরং দোকান না খুললেই ভালো।
দোকান মালিক সমিতির সভাপতি বলেন, দেশের করোনার অবস্থা অতান্ত খারাপ। এই সময়ে সরকার যেভাবে চায়, আমাদের সেভাবেই চলতে হবে।
উল্লেখ্য, সোমবার সরকারি এক তথ্য বিবরণীতে জানানো হয়েছে, করোনা মহামারির বিস্তার রোধে বিভিন্ন বিষয়ে সরকার আরোপিত বিধিনেষেধ আগামী ১৫ থেকে ২২ জুলাই পর্যন্ত শিথিল করা হবে। এ বিষয়ে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ থেকে মঙ্গলবার (১৩ জুলাই) প্রজ্ঞাপন জারি করা হবে। আগামী ২৩ জুলাই থেকে আবারও কঠোর বিধিনিষেধ জারি করা হবে বলেও তথ্য বিবরণীতে উল্লেখ করা হয়েছে।
এমআই/এনএফ