পুঁজিবাজারের ৬৬ কোটি টাকা লোপাটে ৬ জনের বিরুদ্ধে মামলা
পুঁজিবাজার থেকে ৬৬ কোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগে বানকো সিকিউরিটিজ লিমিটেডের চেয়ারম্যান আব্দুল মুহিত ও পাঁচ পরিচালকের বিরুদ্ধে মামলা করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।
মঙ্গলবার (২৮ জুন) দুদকের সমন্বিত জেলা কার্যালয় ঢাকা-১ এ সংস্থাটির উপসহকারী পরিচালক মোহাম্মদ নুর আলম সিদ্দিকী বাদী হয়ে মামলাটি দায়ের করেন। দুদকের জনসংযোগ দফতর বিষয়টি ঢাকা পোস্টকে নিশ্চিত করেছে।
বিজ্ঞাপন
মামলার আসামিরা হলেন- বানকো সিকিউরিটিজ লিমিটেডের চেয়ারম্যান আব্দুল মুহিত, পরিচালক শফিউল আজম , ওয়ালিউল হাসান চৌধুরী, নুরুল ঈশান সাদাত, এ মুনিম চৌধুরী ও পরিচালক জামিল আহমেদ।
মামলার এজাহার সূত্রে জানা যায়, বানকো আইন লঙ্ঘনের মাধ্যমে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ লিমিটেডের লেনদেন নিষ্পত্তি করতে ব্যর্থ হয়। পরবর্তীতে ডিএসই চলতি বছরের ৭ জুন বিশেষ পরিদর্শন করে ডিএসই সম্মিলিত গ্রাহক অ্যাকাউন্টে ৬৬ কোটি ৫৯ লাখ ১৯ হাজার ১৩৩ টাকার ঘাটতির প্রমাণ পায়। বানকো সিকিউরিটিজ লিমিটেডের মালিক পক্ষ বিনিয়োগকারীদের অর্থ ও শেয়ার আত্মসাৎ করেছে বলে প্রমাণ পাওয়া যায়।
বিনিয়োগকারীদের সমন্বিত হিসাবের ৬৬ কোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগে গত ১৫ জুন থেকে ডিএসইতে বানকো সিকিউরিটিজ লিমিটেডের লেনদেন কার্যক্রম বন্ধ। একই সঙ্গে ব্রোকার হাউজটির পরিচালক ও পরিবারের সদস্যরা যাতে বিদেশে যেতে না পারেন সে ব্যাপারে পদক্ষেপ নিতে বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) কাছে আবেদন করে ডিএসই। এছাড়া চেয়ারম্যান ও এমডিসহ কোম্পানির বিরুদ্ধে মতিঝিল থানায় মামলা করে ডিএসই।
ব্রোকার হাউজ সূত্রে জানা যায়, আবু আহমেদ ও তার আত্মীয়স্বজনের বেশ কিছু বিও অ্যাকাউন্ট ছিল হাউজটিতে। এক থেকে দেড় বছর ধরে শেয়ার বিক্রি করেও টাকা উত্তোলন করতে পারছেন না তিনি। এখন তিনি ডিএসইর শরণাপন্ন হয়েছেন। বিনিয়োগকারীরা বলছেন, অনেক দিন ধরেই প্রতিষ্ঠানটি থেকে বিনিয়োগকারীদের অর্থ ফেরত পাওয়া নিয়ে সমস্যা হচ্ছে। ডিএসইও বিষয়টি আগে থেকে জানত। কিন্তু ব্যবস্থা নেয়নি
আরএম/এনএফ