কঠোর লকডাউনেও জেগে থাকবে শুল্ক স্টেশনগুলো
করোনাভাইরাস পরিস্থিতির অবনতির কারণে সোমবার (২৮ জুন) থেকে সাত দিনের জন্য আবারও কঠোর লকডাউন পালন করা হবে। এ সময় জরুরি পরিষেবা ছাড়া সব সরকারি-বেসরকারি অফিস, দোকানপাট ও শপিংমল বন্ধ থাকবে। জরুরি পণ্যবাহী যান ব্যতীত সব ধরনের যানবাহন চলাচল বন্ধ থাকবে।
জরুরি কারণ ছাড়া বাড়ির বাইরে কেউ বের হতে পারবেন না। এ সংক্রান্ত প্রজ্ঞাপন আগামীকাল শনিবার মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ থেকে জারি করা হবে। তবে, কঠোর লকডাউনের মধ্যেও খোলা থাকবে জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) আওতাধীন সব শুল্ক স্টেশন। আমদানি-রফতানিসহ দেশের সার্বিক অর্থনীতির চাকা সচল রাখতে বরাবরের মতো জরুরি সেবা দিয়ে যাবে এনবিআর’র কাস্টমস ও ভ্যাট বিভাগ।
বিজ্ঞাপন
শুক্রবার (২৫ জুন) বিষয়টি নিশ্চিত করে এনবিআর'র সিনিয়র তথ্য কর্মকর্তা সৈয়দ এ মু’মেন ঢাকা পোস্টকে বলেন, দেশে জরুরি সেবার অংশ হিসেবে বরাবরের মতো এনবিআর'র আওতাধীন সব শুল্ক স্টেশন খোলা থাকবে। তবে সরকারের কঠোর বিধিনিষেধ অনুসরণ করে চলবে স্টেশনগুলো। যদিও প্রজ্ঞাপন জারির পর সিদ্ধান্ত হবে কীভাবে শুল্ক স্টেশনগুলো চলবে।
এ বিষয়ে দেশের বৃহৎ শুল্ক স্টেশন চট্টগ্রাম বন্দরের কাস্টম হাউস কমিশনার মো. ফখরুল আলম ঢাকা পোস্টকে বলেন, সাধারণ ছুটির শুরু থেকেই যথেষ্ট নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিয়ে দিন-রাত কাজ করেছি। এবারও সে প্রস্তুতি রয়েছে। তবে, আনুষ্ঠানিক ঘোষণা আসার পর মূলত এনবিআর থেকে আমাদের নির্দেশনা দেওয়া হবে।
এনবিআর থেকে আরও জানা যায়, করোনার কারণে ২০২০ সালেও সাধারণ ছুটি দেওয়া হয়। ওই সময় এনবিআর থেকে সীমিত পরিসরে চালু রাখার নির্দেশনা দিলেও কাজের প্রয়োজনে কোনো কোনো শুল্ক স্টেশনে দিন-রাত আমদানি-রফতানির কাজ করেছে। ঢাকা কাস্টম হাউস, কমলাপুর আইসিডি কাস্টম, চট্টগ্রাম কাস্টম হাউস ও বেনাপোল কাস্টম হাউসে কাজের চাপ একটু বেশি থাকে। এগুলোতে স্বাস্থ্যবিধি মেনে কাজ করা হয়েছে। এবারও সেভাবে কাজ চলবে।
দেশের স্থল সীমান্তের দৈর্ঘ্য প্রায় ২৪০০ কিলোমিটার। এর শতকরা ৯২ ভাগ ভারতের সঙ্গে এবং বাকি আট ভাগ মিয়ানমারের সঙ্গে যুক্ত। পুরো সীমান্তে ছোট-বড় ১৮১টি শুল্ক স্টেশন আছে যা জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের নিয়ন্ত্রণাধীন। এর মধ্যে ২৪টি শুল্ক স্টেশন গুরুত্বপূর্ণ। এছাড়া দেশে ১২টি স্থলবন্দর চালু রয়েছে।
আরএম/এমএআর/