ব্যবসায়ীরা আগাম কর বিলুপ্ত চায় বলে জানিয়েছেন ফেডারেশন অব বাংলাদেশ চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির (এফবিসিসিআই) সভাপতি মো. জসিম উদ্দীন। শনিবার (১২ জুন) বেসরকারি গবেষণা সংস্থা সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগের (সিপিডি) আয়োজিত বাজেট সংলাপ অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন। 

সিপিডির সম্মানীয় ফেলো অধ্যাপক মোস্তাফিজুর রহমানের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত সংলাপে প্রধান অতিথি ছিলেন পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান। অনুষ্ঠানে রাজনীতিবিদ, ব্যবসায়ী, অর্থনীতিবিদ, শ্রমিক নেতারা বক্তব্য রাখেন।

এফবিসিসিআই সভাপতি মো. জসিমউদ্দীন বলেন, ব্যবসায়ীরা আগাম কর বিলুপ্ত চায়। বাজেটে সে বিষয়ে উদ্যোগ নেই। অন্যদিকে সরবরাহ পর্যায়ে আগাম কর ৫ থেকে বাড়িয়ে সাড়ে ৭ শতাংশ করা হয়েছে। অবশ্যই কর-জিডিপি অনুপাত বাড়াতে হবে। তবে সেজন্য নীতি উদ্যোগ দরকার। একেকটি খাতের জন্য একেক ধরনের নীতি সহায়তা দরকার। ছোট ব্যবসায়ীদের ঋণ দেওয়ার পাশাপাশি নগদ সহায়তা দিতে হবে। অনেকের পুঁজি নেই।

পরিকল্পনামন্ত্রী এমএ মান্নান বলেন, হালনাগাদ তথ্য উপাত্তের সরবরাহ বাড়াতে বিবিএসকে আরও শক্তিশালী করার কাজ চলছে। দারিদ্র্যের পরিসংখ্যান নিয়ে কাজ করতে হবে।

তিনি বলেন, বাজেট বাস্তবায়নে অবশ্যই সমস্যা আছে। দুর্নীতি দূর করার জন্য খোদ প্রধানমন্ত্রী কাজ করছেন। ১০ মাসের বাস্তবায়ন চিত্র দেখে সমালোচনা করলে হবে না। পদ্ধতিগত কারণেই অর্থবছরের শেষ দুই মাসে বাস্তবায়ন বা অর্থ ছাড় বাড়ে। তবে এক্ষেত্রে দক্ষতা বাড়ানো জরুরি।

বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক গভর্নর ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ বলেন, বাজেটে অর্থমন্ত্রী সবকিছু করতে চেয়েছেন। কিন্তু অগ্রাধিকার নেই। সরকারের ব্যয়ের লক্ষ্য হতে হবে পিছিয়ে পড়া মানুষ, প্রান্তিক মানুষ। সেজন্য কর্মসূচি দরকার। ব্যাংক খাত, পুঁজিবাজার, অন্যান্য নিয়ন্ত্রক সংস্থার উন্নয়নে প্রশাসনিক সিদ্ধান্ত দরকার।

বিএনপি নেতা সংসদ সদস্য ব্যারিস্টার রুমিন ফারহানা বলেন, জীবন-জীবিকা হুমকির মুখে পড়েছে। এ অবস্থায় যে রকম বাজেট দরকার ছিল, তা পাওয়া যায়নি। স্বাস্থ্যখাতে সার্বিক অবহেলা ছিল, তা আছে। টিকার বিষয়ে অনিশ্চয়তা রয়েছে। টিকার উৎস পরিষ্কার না। সামাজিক নিরাপত্তা বরাদ্দের সামান্য অংশ পৌঁছাচ্ছে প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর কাছে।

অনুষ্ঠানের শুরুতে বাজেট বিষয়ে সিপিডির মূল্যায়ন তুলে ধরেন সংস্থাটির নির্বাহী পরিচালক ফাহমিদা খাতুন।

আরএম/ওএফ