নিরাপদ খাদ্য আইনে টেস্ট বাড রেস্তোরাঁকে ২ লাখ টাকা জরিমানা
বিক্রির জন্য রেখে দিয়েছে মেয়াদোত্তীর্ণ খাবার। কাঁচা মাছ ও মাংসের বক্সে নেই কোনো তারিখ। বিদেশি পণ্যে নেই আমদানিকারকের স্টিকার। কিচেনে খোলা ডাস্টবিন। সেলসম্যানদের নেই স্বাস্থ্যসনদ। নিয়মনীতি ও আইন কিছুই মানছে না প্রতিষ্ঠানটি। লাইসেন্স ছাড়াই করছে ব্যবসা।
রোববার (৬ জুন) রাজধানীর বনানীর নামীদামি প্রতিষ্ঠান টেস্ট বাড লি. রেস্তোরাঁয় মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করা হয়। এ সময় প্রতিষ্ঠানটিতে এমন সব অনিয়ম দেখেন বাংলাদেশ নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষের (বিএফএসএ) নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট শাহ্ মো. সজীব। এ অপরাধে প্রতিষ্ঠানটিকে দুই লাখ টাকা জরিমানা করা হয়।
বিজ্ঞাপন
বিএফএসএ’র পক্ষ থেকে জানানো হয়, রোববার বাংলাদেশ নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষ বনানীর টেস্ট বাড লি. রেস্তোরাঁয় মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করে। অভিযানকালে প্রতিষ্ঠানটিতে মেয়াদোত্তীর্ণ বিভিন্ন খাবার পাওয়া যায়। অনেক পণ্যে আমদানিকারকের কোনো স্টিকার পাওয়া যায়নি। কাঁচা মাছ ও মাংসের বক্সে আগমনের কোনো তারিখ দেওয়া নেই। কিচেন অংশে খোলা ডাস্টবিন রাখা যাতে ক্রস কন্টামিনেশনের সমূহ সম্ভাবনা রয়েছে। এছাড়া কাঁচা খাদ্যের সঙ্গে জড়িত সেলসম্যানদের কারও স্বাস্থ্য সনদ নেই। রেস্টুরেন্ট পরিচালনার জন্য জেলা প্রশাসকের প্রদত্ত নিবন্ধন ও লাইসেন্স পাওয়া যায়নি।
বিএফএসএ আরও জানায়, প্রতিষ্ঠানটি যে ট্রেড লাইসেন্সের ঠিকানা ব্যবহার করেছে তার সঙ্গে রেস্টুরেন্টের ঠিকানায় গড়মিল দেখা যায়। এছাড়া বেকারি আইটেম উৎপাদনের জন্য বিএসটিআইয়ের কোনো লাইসেন্স সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ দেখাতে পারেনি। পেস্ট কন্ট্রোলেও ত্রুটি পাওয়া যায়। এছাড়া রুটি ও অন্যান্য খাদ্য মোড়কীকরণে যথাবিধি মানছে না প্রতিষ্ঠানটি। এসব অপরাধে টেস্ট বাড লি. রেস্তোরাঁ কর্তৃপক্ষকে নিরাপদ খাদ্য আইনের বিধান অনুযায়ী দুই লাখ টাকা জরিমানা করে তাৎক্ষণিক আদায় করা হয়।
এছাড়া মেয়াদোত্তীর্ণ খাদ্যপণ্য তাৎক্ষণিক বিনষ্ট করে দেওয়া হয়। টেস্ট বাড লি. কর্তৃপক্ষকে খাদ্যদ্রব্য উৎপাদন, সংরক্ষণ, প্রক্রিয়াকরণ, মজুদ ও বিক্রয়ে নিরাপদ খাদ্য আইনের সংশ্লিষ্ট বিধি অনুযায়ী পরিষ্কার পরিচ্ছন্নতা বজায় রাখা, খাদ্য সংরক্ষণ ও ভোক্তাদের স্বাস্থ্যঝুঁকি এড়াতে নিয়ম মানতে নির্দেশনা দেওয়া হয়।
পাশাপাশি নিরাপদ খাদ্য নিশ্চিতকরণে করণীয় সম্পর্কে দিকনির্দেশনা সংবলিত পোস্টার দেওয়া হয়। টেস্ট বাড লি. কর্তৃপক্ষ নির্দেশনা মেনে চলবে বলে অঙ্গীকার করে। অভিযানকালে নিরাপদ খাদ্য পরিদর্শক মো. মোলিলুর রহমান, মনিটরিং অফিসার ফাতেমা তুজ জোহরা লাবনি এবং ব্যাটালিয়ন আনসার সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।
এসআই/এইচকে