৫০০ কোটি টাকার দুর্নীতি
তিন কর কর্মকর্তার বিরুদ্ধে দুদকের অনুসন্ধান শুরু
বিতর্কিত শিল্পগোষ্ঠী এস আলমের দুই ছেলে আশরাফুর আলম ও আসাদুল আলমের অপ্রদর্শিত ৫০০ কোটি টাকার সম্পদ বৈধতা দিতে গিয়ে সাময়িক বরখাস্ত হওয়া অতিরিক্ত কর কমিশনার সাইফুল আলম, যুগ্ম কর কমিশনার কে এম শামসুজ্জামান ও সহকারী কর কমিশনার আমিনুল ইসলাম এবার দুদকের মুখোমুখি হচ্ছেন।
গত ১৭ অক্টোবর আশরাফুল আলম ও আসাদুল আলমকে অবৈধ সুবিধা দিতে গিয়ে সাময়িক বরখাস্ত হয়েছিলেন তারা।
বিজ্ঞাপন
বৃহস্পতিবার (১৯ ডিসেম্বর) দুদকের মহাপরিচালক মো. আক্তার হোসেন বিষয়টি নিশ্চিত করেন।
এনবিআর ও দুদক সূত্রে জানা যায়, চট্টগ্রামের কর অঞ্চল-১ মোহাম্মদ সাইফুল আলম বা এস আলমের দুই ছেলে আশরাফুল আলম ও আসাদুল আলমের অপ্রদর্শিত ৫০০ কোটি টাকা বৈধ করতে ৭৫ কোটি টাকা রাজস্ব ফাঁকির সঙ্গে প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে জড়িত থাকার প্রমাণ পায় এনবিআর। তিন কর্মকর্তারা হলেন— চট্টগ্রাম কর আপিল অঞ্চলের অতিরিক্ত কর কমিশনার সাইফুল আলম, কর অঞ্চল-১৪, ঢাকার যুগ্ম কর কমিশনার এ কে এম শামসুজ্জামান ও কর অঞ্চল-২, চট্টগ্রাম এর সহকারী কর কমিশনার মো. আমিনুল ইসলামের বিরুদ্ধে ওই ঘটনার সঙ্গে জড়িত অন্যান্যদের বিষয়ে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য গত ১৯ অক্টোবর দুদকের চিঠি পাঠায় অর্থ মন্ত্রণালয়।
চট্টগ্রামের কর অঞ্চল-১ মোহাম্মদ সাইফুল আলমের দুই ছেলে আশরাফুল আলম ও আসাদুল আলমের রাজস্ব ফাঁকি ও জড়িতদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নিতে বাংলাদেশ গভর্নরকেও অনুরোধ করেছিল অর্থ মন্ত্রণালয়।
এনবিআর সূত্রে জানা যায়, তিন কর্মকর্তাই চট্টগ্রামে কর্মরত থাকার সময় ঘুষ গ্রহণ করেছেন বলে অভিযোগ রয়েছে। কর্মকর্তাদের মধ্যে চট্টগ্রাম কর আপিল অঞ্চলের অতিরিক্ত কর কমিশনার সাইফুল আলম। এর আগে তিনি কর অঞ্চল-১, চট্টগ্রামের যুগ্ম কর কমিশনার ছিলেন। আর কর অঞ্চল-১৪, ঢাকার যুগ্ম কর কমিশনার এ কে এম শামসুজ্জামান আগে তিনি কর অঞ্চল-১, চট্টগ্রামের যুগ্ম কর কমিশনার হিসেবে কর্মরত ছিলেন। অন্যদিকে কর অঞ্চল-২, চট্টগ্রাম এর সহকারী কর কমিশনার মো. আমিনুল ইসলাম আগে কর অঞ্চল-১, চট্টগ্রামের অতিরিক্ত সহকারী কর কমিশনার (ইএসিটি) হিসেবে কর্মরত ছিলেন।
আরএম/এসএম