আগামী ২০২১-২২ অর্থবছরে বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচিতে (এডিপি) ৪ হাজার ১৪৭ কোটি টাকা থোক বরাদ্দ হিসেবে রাখা হয়েছে। গত অর্থবছরের তুলনায় এবার থোক বরাদ্দের পরিমাণ কমেছে ৫ হাজার ৮৫৩ কোটি টাকা। আগামী অর্থবছরের নতুন এডিপির খসড়া থেকে এ তথ্য জানা গেছে।

সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা জানান, চলতি অর্থবছরের (২০২০-২১) বাজেটে করোনা সংকট মোকাবিলা মাথায় রেখে বাড়তি ১০ হাজার কোটি টাকা থোক বরাদ্দ রাখা হয়েছিল। কিন্তু এই থোক বরাদ্দের প্রায় ৭ হাজার কোটি টাকার মতো অব্যয়িত রয়েছে। এ বছর তাই থোক বরাদ্দের পরিমাণ কম রাখা হচ্ছে।

গত মঙ্গলবার (১৮ মে) দুই লাখ ৩৬ হাজার ৭৯৩ কোটি টাকার উন্নয়ন বাজেট অনুমোদন দেয় জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদ (এনইসি)। গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে যুক্ত হয়ে এনইসির বৈঠকে সভাপতিত্ব করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

পরিকল্পনা কমিশনের কার্যক্রম বিভাগের প্রধান খন্দকার আহসান হোসেন ঢাকা পোস্টকে বলেন, এবার এডিপিতে থোক বরাদ্দ রাখা হয়েছে ৪ হাজার ১৪৭ কোটি টাকা। এর মধ্যে স্থানীয় মুদ্রা ২ হাজার ৮৯৩ কোটি টাকা এবং প্রকল্প ঋণ ১ হাজার ২৫৪ কোটি টাকা। করোনার সময়ে সবকিছু চিন্তা-ভাবনা করেই থোক বরাদ্দ কমানো হয়েছে বলে জানান তিনি।  

নতুন এডিপির খসড়ায় দেখা গেছে, ২০২১-২২ অর্থবছরের এডিপিতে বরাদ্দবিহীনভাবে অননুমোদিত নতুন ৫৯৬টি প্রকল্প অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। বৈদেশিক সাহায্য প্রাপ্তির সুবিধার্থে বরাদ্দবিহীন অননুমোদিত নতুন ১৪১টি প্রকল্প অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। পাবলিক প্রাইভেট পার্টানারশিপ (পিপিপি) প্রকল্প ৮৮টি অন্তর্ভুক্ত হয়েছে। ২০২২ সালের ৩০ জুনের মধ্যে সমাপ্তির জন্য নির্ধারিত প্রকল্প ৩৫৬টি। 

২০২০-২০২১ অর্থবছরের আরএডিপিতে জুন ২০২১ এ সমাপ্তির জন্য নির্ধারিত ছিল ৭৩টি প্রকল্প। কিন্তু চলতি অর্থবছরে প্রকল্পগুলো সমাপ্ত না হওয়ায় ২০২১-২২ অর্থবছরের এডিপিতে এগুলো অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে।

এসআর/এসকেডি/জেএস