স আলম গ্রুপ ও তার সহযোগীদের হাজার হাজার কোটি টাকা অর্থ আত্মসাতের অভিযোগ অনুসন্ধানে বাংলাদেশ ব্যাংকের ১৩ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তলব করা হলেও তারা কেউ হাজির হননি।

তাদের বক্তব্য নিতে আবারও জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তলব করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। এবার আগের ১৩ জনসহ মোট ১৭ জনকে তলব করা হয়েছে। সংস্থাটির ঊর্ধ্বতন একটি সূত্র বিষয়টি নিশ্চিত করেছে।

কেন্দ্রীয় ব্যাংকের গভর্নর বরাবর অনুসন্ধান কর্মকর্তা উপপরিচালক ইয়াছির আরাফাতের সই করা তলবি চিঠিতে তাদের আগামী ৮ ও ৯ ডিসেম্বর দুদকে হাজির হয়ে বক্তব্য দিতে বলা হয়েছে। 

চিঠিতে কর্মকর্তাদের হাজির হওয়ার পাশাপাশি তাদের পরিচয়পত্র ও পাসপোর্টের সত্যায়িত ফটোকপি নিয়ে আসতে বলা হয়েছে। এছাড়া চিঠিতে ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশের চাকতাই শাখার গ্রাহক মেসার্স মুরাদ এন্টারপ্রাইজ, জুবিলী রোড শাখার গ্রাহক ইউনাইটেড সুপার ট্রেডার্স, খাতুনগঞ্জ শাখার গ্রাহক সেঞ্চুরি ফুড প্রোডাক্টস নামীয় ঋণ পরিদর্শন ও মনিটরিং সংক্রান্ত কর্মকর্তার ভূমিকার বিষয়ের বিস্তারিত তথ্যসহ হাজির হতে বলা হয়েছে। 

৮ ডিসেম্বর যাদের তলব করা হয়েছে- বাংলাদেশ ব্যাংকের উপপরিচালক জুবাইর হোসেন, যুগ্ম পরিচালক সুনিৰ্বাণ বড়ুয়া, বেলাল হোসেন, উপপরিচালক খোরশেদুল আলম, দেবাশীষ বিশ্বাস, মুহাম্মদ জিয়াউদ্দিন বাবুল, রুবেল চৌধুরী, যুগ্ম পরিচালক অনিক তালুকদার ও অতিরিক্ত পরিচালক ছলিমা বেগম।

অন্যদিকে ৯ ডিসেম্বর যাদের তলব করা হয়েছে তারা হলেন বাংলাদেশ ব্যাংকের যুগ্ম পরিচালক সৈয়দ মু. আরিফ-উন-নবী, অতিরিক্ত পরিচালক শংকর কান্তি ঘোষ, মো. আব্দুর রউফ, মো. মঞ্জুর হোসেন খান, মোহাম্মদ আনোয়ার হোসেন, মো. শোয়াইব চৌধুরী, উপ-পরিচালক লেনিন আজাদ পলাশ ও পরিচালক সরোয়ার হোসাইন। 

একই ঘটনায় ২০ ও ২১ নভেম্বর জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তলব করা হয়েছিল ১৩ কর্মকর্তাকে।

অভিযোগ রয়েছে, মেসার্স মুরাদ এন্টারপ্রাইজের স্বত্বাধিকারী গোলাম সারওয়ার চৌধুরী, জুবলি রোড শাখার গ্রাহক ইউনাইটেড সুপার ট্রেডার্স, খাতুনগঞ্জ শাখার গ্রাহক সেঞ্চুরি ফুড প্রোডাক্টসসহ অন্যান্যরা ঋণের নামে হাজার হাজার কোটি টাকা ইসলামী ব্যাংকে থেকে আত্মসাৎ করেছেন।

গত ২১ আগস্ট এস আলম গ্রুপের মালিক মোহাম্মদ সাইফুল আলম ওরফে এস আলমের বিরুদ্ধে অর্থ পাচারের অভিযোগের অনুসন্ধান শুরু করে দুদক।

আরএম/এসএম