খেলাপি আদায়ে অর্থঋণ আদালতকে আরো সক্রিয় করা হবে
খেলাপি ঋণ আদায়ে অর্থঋণ আদালতকে আরো সক্রিয় করা হবে বলে জানিয়েছেন উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ। একইসঙ্গে হাইকোর্টে হওয়া রিট মামলা দ্রুত নিষ্পত্তি করার পদক্ষেপ নেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন তিনি। তবে খেলাপি ঋণ আদায়ে বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নরকে বিচারিক ক্ষমতা দেওয়া হবে না।
মঙ্গলবার (১৯ নভেম্বর) সচিবালয়ে অর্থ মন্ত্রণালয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে একথা বলেন তিনি। অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের ১০০ দিন পূর্তি উপলক্ষ্যে এই সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করে অর্থ মন্ত্রণালয়।
বিজ্ঞাপন
অর্থ সচিব ড. মো. খায়েরুজ্জামান মজুমদার, আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগের সচিব নাজমা মোবারক, অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগের (ইআরডি) সচিব মো. শাহরিয়ার কাদের ছিদ্দিকী এবং জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) চেয়ারম্যান মো. আবদুর রহমান খানকে সঙ্গে নিয়ে সংবাদ সম্মেলনে আসেন উপদেষ্টা।
খেলাপি ঋণ আদায়ে গভর্নরকে বিচারিক ক্ষমতা দেওয়া হবে কিনা? সাংবাদিকদের পক্ষ থেকে এমন প্রশ্ন করা হলে অর্থ উপদেষ্টা বলেন, খেলাপি ঋণ আদায়ে অর্থঋণ আদালতকে আরো সক্রিয় করা হবে। তবে গভর্নরকে বিচারিক ক্ষমতা দেওয়া ঠিক হবে না।
তিনি বলেন, হাইকোর্টের রিট মামলা নিষ্পত্তি করার জন্য দুটি বেঞ্চ রয়েছে। এ বিষয়ে অ্যাটর্নি জেনারেল ও গভর্নরের সঙ্গে আমার আলোচনা হয়েছে, যাতে এই বেঞ্চগুলো আগামী তিন মাস শুধু রিট মামলাগুলো পরিচালনা করে।
কোনো ব্যাংক বন্ধ হবে না উল্লেখ করে সালাউদ্দিন আহমেদ বলেন, কিছু ব্যাংক হয়ত খুঁড়িয়ে খুঁড়িয়ে চলবে, ব্যাংক খাতের যেসব খারাপ সিনড্রোম ছিল সেগুলো কারেকশন হচ্ছে। ইসলামী ব্যাংক দুর্বলতা কাটিয়ে উঠছে। কোনো ব্যাংক বন্ধ করার ইচ্ছা সরকারের নেই। এটা আমরা সবাইকে আশ্বস্ত করছি। আমানতকারীদের সুরক্ষা দেওয়া হবে ব্যাংক খাতে হারানো আস্থা ফিরে আনায় আমাদের অন্যতম লক্ষ্য।
তিনি বলেন, ভালো ব্যবসায়ীদের ভীত হওয়ার কোনো কারণ নেই। যারা ঋণ নিয়ে ঠিকমতো ফেরত দেন এবং ঠিকমতো কর দেন, তাদের কোনো সমস্যা হবে না। তারাই ভীতু হয়ে আছে যারা বিগত সরকারের সময়ে নানাভাবে অনেক কিছু করেছে।
আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগের সচিব নাজমা মোবারক এ প্রসঙ্গে বলেন, যেসব দুর্বল ব্যাংক আমানতকারীদের টাকা ফেরত দিতে পারছে না, তারা যাতে আমানতকারীদের টাকা ফেরত দিতে পারে সেজন্য খুব দ্রুত উদ্যোগ দেখা যাবে।
এমএম/জেডএস